জাতীয় নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গতকাল সোমবার সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় দলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচি পালন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচন এবং একাদশ জাতীয় নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ ছাড়া, সভার শুরুতে আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দীন আহমেদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।
উপজেলায় যারা দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন তাদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, তাদের ব্যাপারেও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও ভরাডুবি হবে এ কারণে তারা আসছে না। তবে বিএনপির তৃণমূলের অনেকে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, গাইবান্ধায় যাকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তিনি যুদ্ধাপরাধী বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা আমরা তদন্ত করে দেখব। অভিযোগ সত্য হলে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।
জামায়াতের নতুন দল গঠনসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নাম পরিবর্তন করলেন, কিন্তু আদর্শ পরিবর্তন করলেন না তাহলে তো একই বিষয় রয়ে গেল।
আরেক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমরা মনে করি জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার জন্য সবসময়ই আমাদের কাছে উপযুক্ত সময়। এ বিষয়ে কোর্টে মামলা রয়েছে, আমরা অপেক্ষা করছি।