ময়মনসিংহে আসছেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী, ১২ লাখ মানুষের সমাগমের প্রস্তুতি

mizanur rahman azhari

দেশের জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহে তাফসির মাহফিলে অংশ নেবেন। এই মাহফিলকে ঘিরে জেলার সবচেয়ে বড় ভেন্যু সার্কিট হাউস মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে ১০-১২ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। এই মাহফিলকে সফল করতে ইতোমধ্যে জেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা মাহফিলের মাঠ পরিদর্শন করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মাহফিল আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলন। তিনি জানান, মাহফিলে ড. মিজানুর রহমান আজহারী প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সোহেল, সদস্য সচিব শহীদুল্লাহ কায়সার, সদস্য মাহবুবুর রশদি ফরাজী, অধ্যাপক আল হেলাল তালুকদার ও শরীফুল ইসলাম খালিদ।

মাহফিলকে কেন্দ্র করে সার্বিক প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ৬০ ফুট বাই ৩০ ফুটের বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, যাতে বক্তারা স্বাচ্ছন্দ্যে বক্তব্য দিতে পারেন। দর্শকদের সুবিধার্থে ২২টি এলইডি স্ক্রিন ও দুই শতাধিক মাইক বসানো হয়েছে, যাতে দূর থেকেও বক্তব্য স্পষ্টভাবে শোনা যায়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরা ও জেনারেটর সংযোজন করা হয়েছে, যাতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে।

অপরদিকে. ধর্মপ্রাণ নারী মুসল্লিদের জন্য জিলা স্কুল ছাত্রাবাস মাঠে পৃথক বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া, ঈদগাহ মাঠ, সরকারি ল্যাবরেটরি স্কুলসহ আশপাশের এলাকাতেও মাহফিল শোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এতো বড় আয়োজন নির্বিঘ্ন করতে ময়মনসিংহের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। মাহফিলে পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। পাশাপাশি আয়োজক কমিটির ৫,০০০ স্বেচ্ছাসেবক মাঠে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে।

সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ড. মিজানুর রহমান আজহারী দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। তবে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং বিভিন্ন বিভাগে মাহফিলের আয়োজন শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় আল-ইসলাম ট্রাস্ট ময়মনসিংহ এ মাহফিলের আয়োজন করছে।

মাহফিলকে কেন্দ্র করে ধর্মপ্রাণ মানুষের ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। আয়োজকরা আশা করছেন, এটি ময়মনসিংহের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশে পরিণত হবে।

Share this post

scroll to top