বাস চালক ও তার সহযোগীদের ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে ময়মনসিংহের ভালুকায় বাস থেকে লাফ দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা সেই নারী অবশেষে মারা গেছেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুরুতর আহত গার্মেন্টকর্মী শামছুন্নাহার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। নিহত শামছুন্নাহার কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক ভূইয়ার মেয়ে। ঘটনার পর পরই বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে গ্রেফতার করা হয় এবং ধর্ষণচেষ্টা মামলায় আসামীদের আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
ভালুকা থানা সূত্রে জানা যায়, গার্মেন্টকর্মী শামছুন্নাহার গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর রিদিশা গার্মেন্টে চাকরী করে আসছিলেন। শুক্রবার (১৬ জুন) রাতে ডিউটি শেষে তিনি হাইওয়ে মিনিবাসে (ময়মনসিংহ-জ-১১-০১৭৩) চড়ে ভালুকায় আসছিলেন। পথে বাসের সকল যাত্রী নেমে গেলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি এলাকায় মায়ের মসজিদের সামনে আসলে বাসের চালক রাকিব (২১), হেলপার আরিফ (২০) ও সুপারভাইজার আনন্দ দাস (১৯) তাকে ধষর্ণের চেষ্টা চালায়। এ সময় শামছুন্নাহার তাদের সাথে ধস্তাধস্তি ও ডাক চিৎকার করে বাস থেকে ঝাপ দিয়ে নিচে পড়ে মারাত্মক আহত হন। খোঁজ পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে শামছুন্নাহারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ভালুকা ৫০ শয্যা সরকারী হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ককরে।
এঘটনায় পুলিশ ময়মনসিংহ ত্রিশাল থানার কাশীগঞ্জ এলাকার শ্রী রবিদাশের ছেলে আনন্দ দাস (১৯) ও ত্রিশালের রায়মনি এলাকার আরফান আলীর ছেলে আরিফ (২০), পরে পুলিশ তাদের দেওয়া তথ্যে ত্রিশাল থানা এলাকা থেকে চালককে আটক করে। ওই চালক টাংগাইল জেলার ধনবাড়ী থানার কুমারপাড়া এলাকার আমির হোসেনের ছেলে রাকিব (২১)।