দেশ স্বাধীন হয়েছে আজ ৫২ বছর কিন্তু প্রকৃত গণতন্ত্র বাংলাদেশের মানুষ আজো ফিরে পেলো না। তাছাড়া একদিকে সাম্প্রদায়িক শক্তি, তার সাথে সরকারি দলের মুজিব কোট গায়ে দিয়ে এক শ্রেণীর রাজনীতিবিদ এমপি আমাদের জমিজমা দখল করছে। আমাদেরকে ঘরছাড়া করেছে। আমাদেরকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করেছে। এমনি অভিযোগ তুললেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।
শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ মহনগরীর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, নোয়াখালীতে জবাই করে হত্যার ঘটনা দেখেছি চারদিন আগে। আজকের সরকারি দল বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ নয়। তাঁরাও আজকে দূরে ছিটকে গেছে। তাদের ভাষায়, এটি হচ্ছে রাজনীতির জন্যে, ক্ষমতার জন্যে, ক্ষমতায় থাকার জন্যে একটি কৌশল। কৌশলের রাজনীতি অবশ্যই হবে কিন্তু অপকৌশল কখনোই কৌশলের রাজনীতি হতে পারে না। এই কৌশলের রাজনীতি করতে গিয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িকতা পাকিস্তান আমলের চাইতেও দশগুণ বেড়ে গেছে। সরকারি দলের সাম্প্রদায়িকতা, প্রশাসনিক সাম্প্রদায়িকতা, ঘরে ঘরে সাম্প্রদায়িকতা এরমধ্যেই উপলব্ধি করতে পারিনা প্রকৃত অর্থে আমাদের আশ্রয়দাতা বা নির্ভর করার রাজনৈতিক দল কোনটি?
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট বিকাশ রায়ের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মিলন কান্তি দত্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেমন্ড আড়েং, জেলা সেক্রেটারি ডা. সুজিত বর্মণ, মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার দাস চন্দন, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক শঙ্কর সাহা, মহানগর সাধারণ সম্পাদক পবিত্র রঞ্জন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপঙ্কর ঘোষ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাখাল চন্দ্র সরকার, অ্যাডভোকেট তপু গোপাল ঘোষ প্রমুখ। সরকারি দলের ২০১৮ সালের নির্বাচনপূর্ব সাত দফা প্রতিশ্রুতির দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে আয়োজিত বিভাগীয় সভায় ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা ও শেরপুর জেলা ও সকল উপজেলার নেতাকর্মীরা যোগ দেন।