‘ধাক্কা দিলেই পড়ে যাবো তা হবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘ধাক্কা দিলে যদি না পড়েন তাহলে, যা করলে পড়বেন বিএনপি তাই করবে ইনশাল্লাহ।’
বুধবার দলীয় কার্যালয়ের পাশে হরিকিশোর রায় রোডে সকাল ১১টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত সংসদ বিলুপ্ত করে সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে সংসদ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু বলেছেন, গুম, খুন ও ভোট ডাকাতির সাথে জড়িত এই সরকারকে বিতারিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক এ কে এম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসুচিতে আরো বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন ও শরীফুল আলম, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক জাকির হোসেন বাবলু, ফকরউদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে কর্মসুচীতে যোগদান করেন। কর্মসুচীকে ঘিরে গোটা নগরীজুড়ে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। অবস্থান কর্মসুচীর চারদিকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। কর্মসুচির মঞ্চের ২০০ গজ দূরে নগরীর গোলপুকুরপাড় এলাকায় কর্মসুচীমুখি নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগ সমর্থক ও ছাত্রলীগের হামলা করলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। নগরীর জুবিলী ঘাট এলাকায় কিশোরগঞ্জ থেকে আগত নেতাকর্মীদের বহনকারী দু’টি বাসে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা হকিস্টিক ও দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এসময় দু’টি বাস ভাঙচুর করা হয়। হামলাকারিরা বাসের হেলপাড়সহ বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীকে মারধর করে। ##