ময়মনসিংহের ভালুকার নাজমুল হক হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন ময়মনসিংহের বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহের বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শাহাদত হোসেন এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ময়মনসিংহের ভালুকার মেদুয়ারীতে পাওনা টাকা নিয়ে জালাল উদ্দিন ও আসাদ মিয়ার পরিবারের মধ্যে কলহ চলছিল। ঘটনার দিন ২০০০ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসাদ মিয়া জালাল উদ্দিনের ছোট ছেলেকে টেনে নিয়ে যেতে চাইলে বড় ছেলে নাজমুল বাধাঁ দেয়। এ সময় আসাদ মিয়ার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে নাজমুলের মাথায় আঘাত করে। আঘাত পেয়ে নাজমুল আসামীদের বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায়। পুকুরে পড়লেও আসামীরা নাজমুলের শরীরে এলোপাথাড়ী আঘাত করতে থাকে। এ খবরে এলাকাবাসি ছুটে আসেলে আসামীরা চলে যায়। অচেতন রক্তাক্ত নাজমুলকে প্রথমে ভালুকা হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতেলে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সকালে নাজমুল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। ঐদিন নিহতের বাবা জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ভালুকা থানায় মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে আসাদ মিয়া, তার স্ত্রী রাশিদা খাতুন ও ছেলে বিল্লাল হোসেনকে আসামী দিয়ে মামলা করে।
মামলাটিতে ১৪ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন ও শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসাদ মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ডাদেশ দেন। এছাড়া বাকী দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনরূপ সত্যতা প্রমানাদি না পাওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দেন।
আদালতে সরকারি পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন শেখ আবুল হাসেম ও আসামী পক্ষে কাজী শফিকুল হাসান মামলাটি পরিচালনা করেন।