কাতার বিশ্বকাপ চলাকালে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার ভক্তদের সমর্থনের কথা পৌঁছেছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনায়। হাজার মাইল দূর থেকে বিশ্বকাপজুড়ে সমর্থন পেয়ে ব্যাপক খুশি আর্জেন্টিনার জনগণ এবং দেশটির ফুটবল কর্তৃপক্ষ আর্জেন্টিনা ফুটবল এসোসিয়েশন (এএফএ)।
এজন্য আনুষ্ঠানিক ধন্যবাদ দিতে আর্জেন্টিনায় বাংলাদেশের অনারারি কনসাল লিয়ান্দ্রো গাবারদিকে কাল আমন্ত্রণ জানান এএফএ প্রেসিডেন্ট ক্লদিও তাপিয়া। সেখানে গাবারদির মাধ্যমে বাংলাদেশের ভক্তদের আর্জেন্টিনা জাতীয় দল ও এসোসিয়েশনের ধন্যবাদ পৌঁছে দেন এএফএ প্রধান। আর্জেন্টিনার সংবাদ মাধ্যম ‘ক্লারিন’ এ খবর জানিয়েছে। আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যমটি লিখেছে, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলকে বাংলাদেশে আনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের এই আগ্রহের কথা এএফএ সভাপতিকে জানিয়েছেন গাবারদি। বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা দলের প্রতি এই অকুণ্ঠ সমর্থন শুধু মেসিদের দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমেও প্রচার হয়েছে।
গত ১৮ই ডিসেম্বর বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠিও পাঠান। ‘ক্লারিন’ জানিয়েছে, এতে বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের মাটিতে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলকে দেখার যে আশায় রয়েছে, তা আরও সংহত হয়েছে।
এর আগে ২০১১ সালে বাংলাদেশের মাটিতে নাইজেরিয়ার সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল। এএফএ’র আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়, মেসিদের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের যে ভালোবাসা, সেসব নিয়েই কথা বলেছেন গাবারদি, ‘(আর্জেন্টিনা) জাতীয় দলের বিশ্বকাপ জয়ে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিনিয়ত নিজেদের সমর্থন প্রকাশ করেছে এবং উদ্যাপন করেছে।’ ‘ক্লারিন’-এর প্রতিবেদনে আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি মাত্র ম্যাচের কথাও স্মরণ করা হয়। সেটি ১৯৮৩ সালে মালয়েশিয়ার মারদেকা কাপ টুর্নামেন্টে। কুয়ালালামপুরের সেই ম্যাচে অবশ্য আর্জেন্টিনার দলটি জাতীয় দল ছিল না। মারদেকা কাপে তারা ‘বুয়েনস আইরেস একাদশ’ নাম নিয়ে খেলেছিল। কুয়ালালামপুরের সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনার দলটি বাংলাদেশ জাতীয় দলকে হারিয়েছিল ৫-২ গোলে। বাংলাদেশের পক্ষে দুটি গোল করেছিলেন আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু ও শেখ মোহাম্মদ আসলাম।