রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রটি পোল্যান্ডে ইউক্রেনীয় সেনারা নিক্ষেপ করেছে বলে প্রাথমিক তদন্ত শেষে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নাম প্রকাশ না করা শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের তিন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামো রক্ষার্থে রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইউক্রেন। যা গিয়ে পোল্যান্ডে বিস্ফোরিত হয়।
এদিকে পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণে জি-৭ ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো নিয়ে জরুরি মিটিংয়ের আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যেখানে তিনি বলেন, পোল্যান্ডে বিস্ফোরিত ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়া থেকে ছোড়া নাও হতে পারে।
পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাথে রাশিয়া জড়িত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বাইডেন জানান, ‘প্রাথমিক তথ্য মতে, এই হামলার সাথে রাশিয়া জড়িত কিনা তা নিয়ে আপত্তি রয়েছে। আমরা সম্পূর্ণ তদন্ত না করা পর্যন্ত এটা নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু ‘ট্রাজেক্টরি লাইন’ অনুযায়ী এটা রাশিয়ার হামলা নাও হতে পারে। তবে আমরা বিষয়টি আরো খতিয়ে দেখছি।’
বাইডেন আরো বলেন, যেকোনো প্রতিক্রিয়া দেখানোর আগে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে তদন্ত করবে।
এদিকে পোল্যান্ডের ভেতর ক্ষেপণাস্ত্র পড়ার দায় সরাসরি রাশিয়ার ওপর চাপিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
রাশিয়াকে দায়ী করে জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন, ‘আজ যা ঘটেছে, এ বিষয়ে আমরা আগেই সতর্ক করেছিলাম। আমরা এ নিয়ে বলেছি। সন্ত্রাসবাদ এখন শুধু ইউক্রেনের সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটি ইতোমধ্যে মলদোভায় ছড়িয়েছে। আর আজ রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পোল্যান্ডে আঘাত হেনেছে, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের মানুষ নিহত হয়েছে। ইউক্রেনের মানুষের সমবেদনা নেবেন আপনারা।’
সূত্র : এপি ও রয়টার্স