আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কয়েকটি সমাবেশ করেই সরকার পড়ে যাবে এমনটি যারা ভাবেন, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, বিএনপি আরেকটি ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টির দুঃস্বপ্ন দেখছে। বাংলাদেশে ওয়ান ইলেভেনের পুনরাবৃত্তি আর কখনো হবে না। তিনি আজ তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জলের স্রোতে ভেসে আসা কোনো দল নয়, এ দেশের মাটি ও মানুষের অনেক গভীরে প্রথিত আওয়ামী লীগের শেকড়।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছে উচ্চ আদালত, এটি আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নয়। ২০৪১ সাল পর্যন্ত কে ক্ষমতায় থাকবে, কে থাকবে না তা একমাত্র আল্লাহ এবং দেশের জনগণ জানেন।
আওয়ামী লীগ ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ চাইলে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে, না চাইলে করবে না। এ সৎসাহস শেখ হাসিনার আছে। ক্ষমতা চিরস্থায়ী কোনো বিষয় নয়, জনগণের কল্যাণে কাজ করলে জনগণ কখনো কাউকে বিমুখ করে না ।আর সে জন্য আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে জনমানুষের রাজনীতি করে আসছে। জনগণের আস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল আওয়ামী লীগ।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। ষড়যন্ত্র, হত্যা ও আগুনসন্ত্রাসের রাজনীতি করে বিএনপি।
বিএনপিকে একটি অকৃতজ্ঞ দল হিসেবে উল্লেখ করে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের নেত্রীকে নির্বাহী আদেশে মুক্ত করে বাসায় থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সেই মানবিকতা ও কৃতজ্ঞতাবোধও তাদের নেই।
বিএনপি বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করে এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার যে কাজই করুক বিচার-বিবেচনা না করে বিএনপি অন্ধ সমালোচনা শুরু করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আবারও বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হবে। জনগণের জন্য রাজনীতি করলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে।
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদের দলের অভ্যন্তরেই গণতন্ত্র নেই, তারা দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে কীভাবে?
ওবায়দুল কাদের বলেন, যদি পদত্যাগ করতেই হয় তা হলে আন্দোলন ও নির্বাচনে টানা ব্যর্থতার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরই সবার আগে পদত্যাগ করা উচিত। বিএনপি মহাসচিব বিনা সম্মেলনে কয় বছর ধরে দলের মহাসচিব পদে জেঁকে বসে আছে, বিএনপির সম্মেলন কবে হয়েছে ফখরুল সাহেবের হয়তো তাও জানা নেই বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
আমার নাকি পদত্যাগ করা উচিত— মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন, আগে বাস্তবতা অনুধাবন করতে শিখুন। দেশে আমার মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কত মেগাপ্রকল্প হয়েছে এবং এ দেশে যোগাযোগব্যবস্থার একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এ কথা দেশের মানুষ ভালো করেই জানেন; কিন্তু বিএনপি জেনেও না জানান ভান করছে।
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, আমি বিআরটি প্রকল্পের বাস্তবতা তুলে ধরেছি, সত্যকে স্বীকার করার সৎসাহস আমাদের আছে, মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আমি বা আমরা বসে নেই। দ্রুত কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে।