অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়ার শীলখালী এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ বলেন, সাগরপথে মালয়েশিয়াগামী রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলারডুবির ঘটনায় ভেসে আসা তিন নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টেকনাফের শামলাপুর হলবনিয়া নৌঘাট থেকে ৪৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
তাদের মধ্যে আট নারী রয়েছেন। ট্রলারটিতে ৮৫ জন যাত্রী ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধারকৃতদের পরিচয় জানা যায়নি।
ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে উদ্ধার হওয়া টেকনাফের শালবনের বাসিন্দা রোকসা বেগম বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘদিন মালয়েশিয়া রয়েছেন। তার কাছে যাওয়ার জন্য সাগরপথ পাড়ি দিচ্ছিলাম।
এর মধ্যেই এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও যাত্রা করে ব্যর্থ হয়েছিলাম। ট্রলারে আরও অনেক শিশু ও নারী ছিল। তাদের মৃতদেহ সাগরে ভাসতে দেখেছি।’
কোস্টগার্ডের টেকনাফের বাহারছড়া আউটপোস্ট স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার দেলোয়ার হোসেন জানান, সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বহনকারী ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় তাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়। ওই ট্রলারে ৮৫ যাত্রী ছিল। উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।
টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ জানান, ভোরের দিকে ট্রলারটি মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিল। সম্ভবত অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে সেটি সাগরে ডুবে যায়। ট্রলারে কতজন লোক ছিল এখনো জানা যায়নি।
তিনি বরৈন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। উদ্ধারকৃতদের যাচাই-বাছাই চলছে। তাদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা। তারা বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা। জেলেরা সাগরে ভাসমান মরদেহ দেখেছে বলে জানিয়েছে।