ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার বালিয়ান ইউনিয়নে চাচির শাবলের এলোপাথারি আঘাতে নাফিস (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৬ আগষ্ট) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির মৃত্যু হয়।
ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে।
মঙ্গলবার (১৬ আগষ্ট) সাড়ে ১২ টার দিকে বরুকা নয়নবাড়ী গ্রামের স্বপন মিয়ার স্ত্রী শরিফা খাতুন পারিবারিক বিরোধের জের ধরে নাফিস (৬) ও জিহাদ (৮) কে ঘরে ডেকে নিয়ে শাবল দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে মারাত্নক ভাবে আহত করে। আহত শিশু জিহাদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক শরিফা খাতুনকে গ্রেফতার করেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, উপজেলার বরুকা নয়নবাড়ী গ্রামের স্বপন মিয়ার বাড়ীর পাশে খেলা করছিল আসাদুজ্জামানের শিশু পুত্র নাফিস (৬) ও সোহাগ মিয়ার শিশু পুত্র জিহাদ (৮)। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে স্বপন মিয়ার স্ত্রী শরিফা খাতুন প্রথমে নাফিসকে ঘরে ডেকে এনে শাবল দিয়ে মাথা ও বুকে আঘাত করে নিজ ঘরের চৌকির নিচে লুকিয়ে রাখে। পরে জিহাদ (৮) কে ঘরে ডেকে নিয়ে একই কায়দায় মারপিট শুরু করলে শিশুদের ডাক চিৎকারে বাড়ীর অন্যান্যরা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করেন। শিশুদের প্রথমে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাফিসের (৬) অবস্থা সংকটাপন্ন হলে রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানাতর করা হয়। রাত ১২ টার দিকে নাফিস মারা যায়।
ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, শিশু মৃত্যু ও আহতের ঘটনায় নিহত নাফিসের পিতা সোহাগ মিয়া বাদী শরিফা খাতুনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। বুধবার (১৭ আগষ্ট) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে দুই শিশুকে ঘরে ডেকে নিয়ে শাবল দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্নক আহত করে বলে শরিফা পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। জিহাদ নামের অপর শিশু ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।