নেত্রকোনা মদন উপজেলায় আত্মীয় বাড়ি থেকে ফেরার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী (১৪)। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা মঙ্গলবার রাতে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মদন থানায় একটি মামলা করেছেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে রাব্বি মিয়া (২৫) ও অন্তর মিয়া (২৩) নামের দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছেন মদন থানার পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত রাব্বি মিয়া বাশরী (বাফলা) গ্রামের নূর মিয়ার ছেলে ও অন্তর (২৩) একই গ্রামের মঞ্জিল হকের ছেলে। বাকি আসামিরা হলেন একই গ্রামের মৃত আব্দুল কদ্দুছের ছেলে সারু (২৫), কাঞ্চন বাবুর্চীর ছেলে বাছির (২৭) ও শাহানুর মিয়া (৩৮)। এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাতে কাইটাইল বাজারের পাশে মদন-কেন্দুয়া সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরী তার মায়ের সঙ্গে আত্মীয় বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে রওনা হয়। উপজেলার তিয়শ্রী বাজারে আসলে অন্ধকার ঘনিয়ে আসে। সেখান থেকে একটি অটোরিকশা যোগে কাইটাইল বাজারের পাশে এসে নামে। কিশোরীরকে রাস্তার এক পাশে রেখে অন্য পাশে অটোচালককে ভাড়া দিতে যায় তার মা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আরেকটি অটোরিকশায় ৫ যুবক উচ্চ শব্দে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায়। ভাড়া দিয়ে রাস্তার পাশে মেয়েকে না পেয়ে ডাকচিৎকার শুরু করেন কিশোরীর মা। মেয়েকে না পেয়ে বাড়ির লোকজন নিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
এদিকে ৫ বখাটে যুবক কিশোরীকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে বাররী গ্রামের সেলিম মিয়ার ঘরে আটকে রাখে। পরে রাতভর ওই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে তারা। পর দিন সকালে হত্যার ভয় দেখিয়ে আরেক দফা ধর্ষণ করার সময় প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পারে। এ সময় বখাটেরা পালিয়ে গেলে কিশোরীর পরিবারের লোকজনকে খবর দেয় প্রতিবেশী লোকজন। পরে তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই দুজনকে গ্রেপ্তার করেন।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃদের আজ বুধবার নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হবে। এর সঙ্গে ভুক্তভোগী কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।