গোয়ালন্দে অপ্রাপ্তবয়স্ক বর-কনে ও তাদের অভিভাবকদের বিয়ের আসর থেকে তুলে এনে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করলেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার উজানচর ইউনিয়ন হাজী দুদুখান পাড়া গ্রামের আব্দুস ছালাম মীর মালতের ছেলে সুজন মীর মালত বর সেজে একই ইউনিয়নের শাহাজদ্দিন মন্ডল পাড়া ইনষ্টিটিউট মাধ্যমিক স্কুলের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর (অপ্রাপ্ত বয়স ১৪) পিতার বাড়িতে বিয়ে করতে আসেন। এ উপলক্ষে ধুমধামের সাথে কনের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলছিল। এ সময় খবর পেয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বর-কনে ও উভয় পক্ষের অভিভাবকদের গাড়িতে করে তার কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।
এ সময় ওই ছাত্রীর সনদপত্রে দেখা যায় ২০১৫ সালে চর দৌলতদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সে ৫ম শ্রেণী পাস করেছে। চলতি বছর সে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। এ সময় ওই ছাত্রীর পিতা জানান, বরের এক আত্মীয় উজানচর ইউনিয়নের চুন্নু মেম্বর ফরিদপুর নোটারী পাবলিক কার্যালয়ের এ্যাডভোকেট এম এ সালামকে দিয়ে এফিডেভিট করে তারা মেয়ের বয়স বাড়িয়ে এ বিয়ের আয়োজন করেন। এ তিনি এ্যাডভোকেট এম এ সালাম স্বাক্ষরিত একটি ষ্ট্যাম্প কপি ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেটকে দেখান।
এক পর্যায় উভয় পক্ষের অভিভবক বাল্যবিয়ের কুফল বুঝতে পেরে আদালতে ক্ষমা প্রার্থনা করলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ আইন ২০১৭ অনুযায়ী তাদের উভয় পক্ষের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করেন। পরে তারা এ বিয়ে বন্ধ করে ভবিষ্যতে বাল্যবিয়ে না দেয়ার লিখিত মুচলেকা দিয়ে তারা ছাড়া পান।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাল্যবিয়ে দণ্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়টি প্রচারের স্বার্থে ও অভিভাবকদের এ বিয়ের কুফল বোঝানোর লক্ষ্যে আজ তাদের এখানে আনা হয়েছিল। এরপর তাদের কাছ থেকে বাল্য বিয়ের অপরাধে জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।