ময়মনসিংহ বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস আনতে খরচ হবে ৫৫৩ কোটি টাকা

পাইপলাইনে গ্যাস আসবে ময়মনসিংহ বিদ্যুৎকেন্দ্রে। এজন্য ‘ময়মনসিংহ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের জন্য ধুনুয়া হতে ময়মনসিংহ পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ময়মনসিংহ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব করা হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ময়মনসিংহ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে উৎপাদিত ৪২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাবে। ফলে গ্রিড থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নিরবচ্ছিন্ন, নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল) ময়মনসিংহ ৩৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র শীর্ষক প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। ১ হাজার ৯৫৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০২২ সালের জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নাধীন আছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করার জন্য উল্লেখিত গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে ময়মনসিংহ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে উৎপাদিত ৪২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাবে।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে, ৮৪ দশমিক ৭৩ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ২১৪ দশমিক ১৪ একর ভূমি অধিযাচন, ধনুয়া হতে ময়মনসিংহ পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ এবং এইচডিডি পদ্ধতিতে নদী ক্রসিং স্থাপন করা হবে। এছাড়া ইপিসি ভিত্তিতে টাউন বর্ডার স্টেশন ও স্কাডা সিস্টেম ও সিপি সিস্টেম স্থাপন করা হবে।

সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) সূত্র জানায়, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায় সিস্টেম লস হ্রাস করে একটি দক্ষ ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন কাঠামো তৈরি করা হবে। এর মাধ্যমে সকলের জন্য সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য, আধুনিক ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ময়মনসিংহ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে উৎপাদিত ৪২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাবে। এর ফলে গ্রিড থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত বছরের ১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২৫ জুনের সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল) ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)।

সূত্র জানায়, প্রকল্প প্রস্তাবটি নিয়ে গত বছরের ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলোর অন্যতম হচ্ছে প্রকল্পটি লাল তালিকাভুক্ত হওয়ায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী পরিবেশগত ছাড়পত্র ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) সংযুক্ত করতে হবে।

Share this post

scroll to top