নেত্রকোনার মদনে হাফিজুল হক চৌধুরী (৩৪) নামের এক শিক্ষানবিশ আইনজীবিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুরে উপজেলা ফতেপুর ইউনিয়নের ছালাকান্দা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হাফিজুল হক চৌধুরী ছালাকান্দা গ্রামের এমদাদুল হক চৌধুরীর (ফুল মিয়া) ছেলে।
খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছালাকান্দা গ্রামে দুই পক্ষের বিরোধ দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে থানায় একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রতিপক্ষের লোকজন হাফিজুল নামের এক যুবককে খুন করেছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আমি এলাকায় আছি। নিহতের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। নিহত পরিবারের লোকজনের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছালাকান্দা গ্রামের এমদাদুল হক চৌধুরীর (ফুল মিয়া) লোকজনের সঙ্গে প্রতিবেশী সাবেক ইউপি সদস্য ফারুক মিয়ার দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে পূর্বেও একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের ৫টি মামলা চলমান। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফারুক মিয়ার বাড়ির সামনে হাফিজুলকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ফারুক মিয়ার লোকজন। এ সময় হাফিজুলের ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাফিজুলকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের চাচা তৌহিদ চৌধুরী জানান, হাফিজুল কয়েক দিন আগে এলএলবি সম্পন্ন করেছে। সনদ পেতে দেরি হওয়ায় বাড়িতে চলে আসে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফারুক মিয়ার বাড়ির সামনে যেতেই তাদের লোকজন হাফিজুলকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার এ কে এম রিফাত সাঈদ জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই হাফিজুল হক মারা গেছে। নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক চিহ্ন রয়েছে।