টঙ্গীর তুরাগ তীরে ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমায় লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে আল্লাহ কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি, হেদায়েত, হেফাজত, রহমত, মাগফিরাত, নাজাত, দেশ ও বিশ্ব মানবতার কল্যাণ কামনায় আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা জোবায়ের। এর আগে পাকিস্তানের মাওলানা ওবায়দুল্লাহ খোরশেদ উর্দূতে হেদায়েতি বয়ান করেন।
বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে পথভ্রষ্ট মুসলমানের সঠিক পথের দিশা মহান আল্লাহ রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত প্রার্থনা করা হয়।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে শুক্রবার ভোর থেকেই মুসল্লিদের ঢল আসতে থাকে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে। আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে নেয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মোনাজাত শেষে জোবায়ের অনুসারিগণ ময়দান ছেড়ে চলে গেলে রবিবার থেকে মাওলানা সা’দ অনুসারিদের পরিচালনায় এজতেমা ফের শুরু হবে। সোমবার মাওলানা সাদ পন্থীদের আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এ পর্বের চার দিনের বিশ্ব ইজতেমা।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জানান, মুসল্লিদের যাতায়তের জন্য ১৩৮টি বিশেষ ট্রেন, ৪০০টি বিআরটিসি বাস, পর্যাপ্ত লঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো ইজতেমা ময়দান নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে। এজন্য ৯ হাজার পুলিশ, দুই শতাধিক র্যাব, ৩ শতাধিক আনসার, ৩ শতাধিক ফায়ার সার্ভিস কর্মী নিয়োজিত আছে। এছাড়া পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে। দেশের সকল গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ইজতেমা মাঠে মোতায়েন রয়েছে। এতে প্রায় ১০ হাজার আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য পুরো এজতেমা মাঠ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছে।
তিনি জানান, এজতেমায় আগত মুসল্লিদের চলাচলের জন্য ১৭টি প্রবেশ পথে আর্চওয়ে ও ১৫টি ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে। নিরাপত্তা, বিশুদ্ধ খাবার ও আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলো সুষ্ঠুভাবে সমাধানের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রতিদিন ৩০টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হচ্ছে