নেত্রকোনার কলমাকান্দায় মো. মোস্তফা কামাল নামের এক শিক্ষককে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়েছেন কিশোর-গ্যাং এর সাথে সম্পৃক্ত কয়েকজন বখাটে। এ সময় ওই শিক্ষকের হাতও ভেঙে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (৩ জুলাই) বিকেলে উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের সেহড়াউন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত মো. মোস্তফা সেহড়াউন্দ গ্রামের বাসিন্দা এবং ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
অভিযুক্তরা হলেন- সেহড়াউন্দ গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে মোবারক মিয়া (২০), বকুল মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২০) ও ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর।
স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেলে ওই বিদ্যালয়ের একটি ভবন থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক মোটর চালিয়ে পাশের ডোবা সেচ দিচ্ছিল স্থানীয় কয়েকজন। শিক্ষক মোস্তফা স্কুলভবন থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারে বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা শিক্ষককে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। তাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) একরামুল হাসান বলেন, ‘শিক্ষক মোস্তফা কামালের বাম হাতের কনুইয়ের নিচে হাড় ভেঙে গেছে এবং মাথায় ৯টি সেলাই দিতে হয়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা-জখম রয়েছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।’
শিক্ষক মোস্তফা কামালের বড় ভাই মজিবুর মিয়া বলেন, ‘১৯৯৯ সাল থেকে আমার ভাই এ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি এভাবে তাকে পিটিয়ে জখম করা হবে। আমি এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই।’
কলমাকান্দার সিধলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক উজ্জ্বল কান্তি সরকার বলেন, লিখিত অভিযোগ না পেলেও অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে।