দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে উইকেট ভালো দেখে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে বসিয়ে ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদকে মূল একাদশে জায়গা করে দেওয়া হয়।
স্পিন-অলরাউন্ডার হিসেবে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকেও নেওয়া হয় একাদশে।
তবে কোনো পরিকল্পনাই কাজে লাগল না। বাংলাদেশি বোলারদের একাই তুলোধোনা করলেন রোভম্যান পাওয়েল।
দুটি বাউন্ডারি ও ছয়টি ছক্কার মারে মাত্র ২৮ বলে ৬১ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন ক্যারিবীয় ব্যাটিং জায়ান্ট। তার এমন ইনিংসে ভর করে ১৯৪ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
প্রায় সব বোলারই মার খেয়েছেন উইন্ডিজ ব্যাটারদের কাছে। তিন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম ১১ ওভারে দেন ১২৩ রান। দুই স্পিনার শেখ মেহেদি হাসান ও সাকিব আল হাসানের ৮ ওভার থেকে আসে ৭০ রান।
তবে খণ্ডকালীন স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের করা এক ওভার ছিল দুর্দান্ত। ইনিংসের ১৩তম ওভারে সেই ওভারে ক্যারিবীয় অধিনায়ক নিকোলাস পুরানকে আউট করেন মোসাদ্দেক, তুলে নেন মেডেন।
কিন্তু এমন দুর্দান্ত ওভারের পরও মোসাদ্দেককে দিয়ে আর দ্বিতীয় ওভার করাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, যা বিস্মিত করেছে ক্রিকেটভক্তদের।
এমনটি কেন করলেন মাহমুদউল্লাহ, ম্যাচ শেষে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন অধিনায়ক নিজেই।
মোসাদ্দেককে আর বোলিংয়ে না আনার পক্ষে মাহমুদউল্লাহর যুক্তি— যেহেতু ওই সময় উইকেটে দুই ডানহাতি ব্যাটার রোভম্যান পাওয়েল ও ব্র্যান্ডন কিং ছিলেন। তাই ডানহাতি অফস্পিনার মোসাদ্দেককে আনেননি তিনি। একইভাবে বাঁহাতি ব্যাটার পুরান উইকেটে থাকায় মাঝে বাঁহাতি স্পিনার সাকিবকে দিয়েও বোলিং করাননি।
সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘মোসাদ্দেককে আমি অবশ্যই বোলিং করাতাম। কিন্তু রোভম্যান পাওয়েল তখন ব্যাটিংয়ে ছিল। যেহেতু দুজনই ডানহাতি ব্যাটার, ওই পাশের বাউন্ডারিটা একটু ছোটও ছিল। তো এ জন্য আমি আর ঝুঁকি নিইনি। তাসকিনকে ওই সময় বোলিংয়ে আনি। ওই পাশ থেকে সাকিব বোলিং করছিল। আপনারা দেখে থাকবেন, সাকিবকে আমি কিছুটা পরে বোলিংয়ে আনি। যেহেতু পুরান (বাঁহাতি) ব্যাটিং করছিল। তবে আমার মনে হয় রোভম্যান পাওয়েল অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। সে আমাদের থেকে ম্যাচটা ছিনিয়ে নিয়েছে।’
মাহমুদউল্লাহর এমন যুক্তি এখন অনেকের কাছে হাস্যকর মনে হতে পারে। কারণ ওই সময় তুলোধোনা হন তাসকিন-সাকিব দুজনেই।
শেষ সাত ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলে নেয় ৯৩ রান। এর মধ্যে ছিল সাকিব এক ওভারে ২৩ রান দেন, তাসকিনের এক ওভার থেকে আসে ২১ রান। ১৯৪ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৫৮ তে থামে বাংলাদেশ। ৩৫ রানে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হারে বাংলাদেশ।