ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মধ্যেও সাহসিতকার সাথে লড়াই করেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। তার ৫৭ রানের স্কোর বাংলাদেশের সংগ্রহ ২০০ ছাড়িয়ে যেতে সাহায্য করেছে। ৬৯ বলের এই ইনিংসে তিনি ৭টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। এটিই ছিল পুরো ইনিংসে একমাত্র ছক্কা।
আর তিনি তার ওডিআই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরিটি করেছিলেন এই ছক্কা দিয়েই। বেশ দাপটেই তিনি ব্যাট করেছেন। অবশ্য ভাগ্যেরও সহায়তা তিনি পেয়েছেন। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা, তিনি লড়াই করেছেন। এই লড়াইটিই দেখতে চেয়েছিল সবাই।
তবে তিনি হ্যামস্ট্রিংয়েও আক্রান্ত হয়েছিলেন। ৩০তম ওভারের শেষ বলে তিনি এই সমস্যায় আক্রান্ত হন। ফিজিওকে এসে তাকে চিকিৎসাও দিতে হয়েছে। তবে দলের বিপর্যয়ের মধ্যে মাঠ না ছেড়ে তিনি আবার খেলতে নেমেছেন।
আজ টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। শুরু থেকেই ব্যাটিং ব্যর্থতা সঙ্গী হয় বাংলাদেশের। একে একে সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস (১), তামিম ইকবাল (৫), সৌম্য সরকার (২২), মুশফিকুর রহীম (২৪), মাহমদুল্লাহ (৭), মোহাম্মদ মিঠুন (৫৭), মেহেদী হাসান মিরাজ (১৬), সাব্বির রহমান (৪৩), মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন (১০)। আজ মুশফিক তার ক্যারিয়ারের ২০০তম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেছেন। তিনি বড় কিছু করবেন বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু পারেননি।
বাংলাদেশের সংগ্রহ হলো ২২৬। বাংলাদেশ ৪৯.৪ ওভারে ২২৬ রানে অল আউট হয়ে যায়। মিঠুন হাফসেঞ্চুরি করেছেন। তার কাছাকাছি গিয়েছিলেন কেবল সাব্বির রহমান।
বাংলাদেশ মাঠে নামে প্রথম ওয়ানডের একাদশ নিয়েই।
বাংলাদেশ একাদশ : তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মোস্তাফিজুর রহমান।
নিউজিল্যান্ড একাদশ : মার্টিন গাপটিল, হেনরি নিকোলস, কেন উইলিয়ামসন, রস টেলর, টম ল্যাথাম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, জিমি নিশাম, টড অ্যাস্টল, লুকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, ট্রেন্ট বোল্ট।