সুনামগঞ্জে বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমতে থাকায় একটুখানি আশার সঞ্চার হয়েছিল। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছিলেন দফায় দফায় বন্যায় আক্রান্ত সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বানভাসি লাখো মানুষ।
স্মরণকালের সর্বনাশা এ ভয়াল বন্যার রেশ কাটিয়ে পরিবার-পরিজন ও গবাদি পশুপাখি নিয়ে বাঁচার তাগিদে আবারো তৎপর হয়েছিলেন বানভাসিরা। কিন্তু সোমবার রাত থেকে আবারো শুরু হয়েছে মূষলধারে বৃষ্টিপাত। সুরমা, চিলাই, চলতি, চেলা, মরা চেলা, কালিউড়ি খাসিয়ামারা ও ছাগলচোরাসহ সব হাওড়, খাল-বিলে হু হু করে পানি বাড়ছে।
সীমান্তবর্তী লক্ষ্মীপুর, বাংলাবাজার ও নরসিংপুর ইউনিয়নসহ উপরিভাগের বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠের পানি ৫৫ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে বাড়ির আশপাশে থই থই করছে। তবে রাতভর বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে এসব অঞ্চলের বাড়িঘরে আবারো পানি প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন করে আবারো শঙ্কায় রয়েছেন ওই এলাকার বাড়িঘর থেকে সদ্য পানি নেমে যাওয়া লক্ষাধিক মানুষ।
এদিকে সুরমা, বগুলা দোহালিয়া, মান্নারগাঁও ও দোয়ারাসদরসহ নিম্নাঞ্চলে এখনো পানিবন্দি রয়েছেন লাখো মানুষ। আবারো পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে সর্বাধিক ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা। বর্তমান বন্যার পানি না কমতেই আবারো ভয়াল বন্যার অশনি সংকেত। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, ১০ দিন বিরতির পর আবারো লাগাতার বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সীমান্ত নদ-নদীর উপচেপড়া পানিতে বিভিন্ন এলাকায় আবারো পানি বাড়ছে। তবে সব পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। প্রশাসনসহ আমাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও খাবার স্যালাইনসহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।