ময়মনসিংহে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন নান্দাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম ভুইয়া। এমন খবরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় আওয়ামীলীগের ভেতরে-বাইরে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ৩৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নান্দাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম ভুইয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে (দুর্নীতি দমন কমিশন) দুদক।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) এবং ৪(৩) ধারায় এই মামলাটি দায়ের হয়।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, মামলার আসামী সিরাজুল ইসলাম ভুইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও সরকারী অর্থ সম্পদ আত্মসাৎ করে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত এই সম্পদ অর্জন করেছেন। ফলে ওই সম্পদ অর্জনে বৈধ কোন আয়ের উৎস এবং প্রমান দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
সূত্রটি আরও জানায়, মামলা দায়ের পর ওই বছরের ২০ আগষ্ট বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন নেয় আওয়ামীলীগ নেতা মো. সিরাজুল ইসলাম ভুইয়া।
এ ঘটনার টানা দুই বছর পর চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক ময়মনসিংহের তৎকালীন সহকারি পরিচালক একেএম বজলুর রশিদ এই আওয়ামীলীগ নেতাকে অভিযুক্ত করে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশীট দাখিল করে।
আগামী ৫ জুলাই মামলাটি চার্জ গঠনের অপেক্ষায় আছে বলে নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহের বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সঞ্জীব সরকার।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নান্দাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি মহল ষড়যন্ত্র করে এই মামলাটি করিয়েছে।
তিনি দাবি করেন, মামলার তদন্তে সরকারি অর্থ আত্মসাতের কোন প্রমান নেই। একটি জমি কেনার সময় আমার কিছু টাকা ঋণ ছিল, ওই সংক্রান্ত স্ট্যাম্প রয়েছে। কিন্তু তদন্তে ওই স্ট্যাম্প প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি।
এদিকে আওয়ামীলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম ভুইয়া দুদকের মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন সম্প্রতি এমন খবরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে উপজেলাজুড়ে।
এনিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনায় দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ফলে আসন্ন উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে এই বিষয়টি প্রভাব ফেলবে বলেও মনে করছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা।