বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজ সমূহ তাদের তাত্ত্বিক সমাপনী পরীক্ষায় সিংহভাগ মুখস্থ নির্ভর প্রশ্নাবলী প্রণয়ন করে থাকে। তবে এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ন্তগত মেডিকেল কলেজসমূহ তুলনামূলকভাবে কিছুটা সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়ন করে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা সৃজনশীলতার চেয়ে মুখস্থনির্ভর শিক্ষায় বেশি ঝুঁকছে। এমতাবস্থায় মেডিকেলে শিক্ষার মানোন্নয়নে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজসমূহকে তাত্ত্বিক সমাপনী পরীক্ষায় আরো বেশী সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজ সমূহের তাত্ত্বিক সমাপনী প্রশ্নপত্র মূল্যায়ন সর্ম্পকিত এক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সহযোগী অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার কুরী। সোমবার (২৭ জুন) সকাল ১০ টার দিকে বাংলাদেশ মেডিকেল গবেষণা কাউন্সিলের আয়োজনে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ওই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
ড. সুব্রত কুমার আরো বলেন, মেডিকেল কলেজসমূহে এধরনের গবেষণা বাংলাদেশে একেবারেই নতুন এবং যুগোপযোগী। দেশের মেডিকেল শিক্ষা বিষয়ে আরো গভীরভাবে গবেষণা হওয়ার প্রয়োজন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল গবেষণা কাউন্সিলের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ এর সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. চিত্ত রঞ্জন দেবনাথ এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোঃ নওশাদ আলী।
সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আফতাব উদ্দীন আহমেদ এবং বাকৃবি কোয়ালিটি এসিওরিয়েন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক অধ্যাপক ড. সুকুমার সাহা। বাকৃবির কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের প্রধান ড. ইফ্ফাত আরা মাহজাবীন এর সভাপতিত্বে উক্ত সেমিনারে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ মোজাহার আলী।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. মোঃ রুহুল আমিন বলেন, আমাদের দেশের মেডিকের কলেজসমূহের শিক্ষার্থীরা অনেকেই শেষ বর্ষে এসেও আত্মহত্যা করছে। এর কারণ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কাঠামো কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। পাশাপাশি দেশের মেডিকেল শিক্ষায় আরও বেশি গবেষণা এবং শিক্ষার্থীদের মুখস্থনির্ভরতা কমিয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন কাঠামোতে জোর দিতে তিনি আহবান জানান।