নেত্রকোনার পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরীর পানি বিপৎসীমার নিচে নামলেও কলমাকান্দায় উব্দাখালি নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে।
যে কারণে প্লাবিত এলাকার পানি নামছে ধীরগতিতে। কোনো কোনো বাড়িঘরে এখনো ঘরের মেঝেতে গড়াগড়ি খাচ্ছে পানি। আবার কোথাও ঘর থেকে নেমে বারান্দায় এসেছে।
এদিকে ভারি বৃষ্টিপাত কমে গেলেও থামছে না থেমে থেমে বৃষ্টি। ফলে উন্নতির দিকে কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর থাকলেও এখনো আটপাড়া, সদর, বারহাট্টাসহ হাওড়াঞ্চলের অবস্থা অপরিবর্তিত।
ভেতরের গ্রামগুলোর পানিবন্দি অনেকে পাচ্ছেন না কোনো খাদ্যসহায়তা। বেশির ভাগ সড়কের পাশাপাশি বা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ত্রাণ দিয়ে চলে আসছে। কিন্তু সড়ক বিচ্ছিন্ন অনেক গ্রামের মানুষ এখনো পানিবন্দি নিজ বাড়ি ঘরেই।
তাদের কাছে যাওয়াও যেমন কঠিন তেমনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগেরও নেই মাধ্যম। ফলে সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও দুর্ভোগেই রয়েছেন তারা।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, পর্যাপ্ত সহায়তা দেয়া হচ্ছে। খবর পেলেই দেয়া হচ্ছে খাদ্যসহায়তা। তবে পানি নামতে আরও কয়েকটা দিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।