কালে উঠে যারা বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের খেলা দেখতে টিভি খুলে বসেছেন, বা মোবাইলে স্কোর দেখেছেন তাদের অনেকেই বিভ্রান্তিতে পড়ে গেছেন। তারা মনে করেছেন হয়তো আগের দিনের খেলা বা স্কোর দেখাচ্ছে। কারণ দু’দলের, বিশেষ করে টাইগারদের খেলা যে প্রায় প্রথমদিনের ফটোকপি।
নেপিয়ারে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ করেছিল ২৩২, আজ ২২৬। সেদিনও উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যান তামিম ৫ রানে এবং লিটন দাস ১ রানে আউট হয়ে গিয়েছিল, আজও তাই। ওইদিন সর্বোচ্চ রান ছিল মিঠুনের, আজও সেটাই ঘটেছে। উভয় দিনে তিনিই একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান। সেদিনও বাংলাদেশ সব বল খেলতে পারেনি। আজো ২ বল বাকি থাকতেই সমাপ্তি এসেছে বাংলাদেশের ইনিংসে। সেদিন গাপটিল করেছিলেন সেঞ্চুরি, আজও সেই পথে।
১২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড করেছে ৭৩ রান। ৫১ রান নিয়ে গাপটিল এবং ৭ রান নিয়ে কেন উইলিয়ামস উইকেটে আছেন। ১৪ রান করে আউট হয়ে গেছেন হেনরি নিকোলস। উইকেটটি পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশের ইনিংসে মোহাম্মদ মিঠুন লড়াই করলেন একাই। সেই সুবাদে বাংলাদেশের সংগ্রহ হলো ২২৬। বাংলাদেশ ৪৯.৪ ওভারে ২২৬ রানে অল আউট হয়ে যায়। মিঠুন হাফসেঞ্চুরি করেছেন। তার কাছাকাছি গিয়েছিলেন কেবল সাব্বির রহমান (৪৩)।
ক্রাইস্টচার্চের বৃষ্টিভেজা মাঠে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আবারো বিপদে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা। একের পর এক ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরে যেতে থাকে কিউইদের শিকার হয়ে। বিশেষ করে টপ অর্ডার ছিল পুরোপুরি ব্যর্থ। একমাত্র মোহাম্মদ মিঠুন হাফসেঞ্চুরি করে দলের লজ্জা কিছুটা কমিয়ে দিতে পেরেছিলেন। তিনি ৫৭ রান করে বিদায় নেন। এছাড়া মুশফিক ২৪ ও সৌম্য ২২ রান করেন।
আজ টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। শুরু থেকেই ব্যাটিং ব্যর্থতা সঙ্গী হয় বাংলাদেশের। একে একে সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস (১), তামিম ইকবাল (৫), সৌম্য সরকার (২২), মুশফিকুর রহীম (২৪), মাহমদুল্লাহ (৭), মোহাম্মদ মিঠুন (৫৭), মেহেদী হাসান মিরাজ (১৬), সাব্বির রহমান (৪৩), মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন (১০), মাশরাফি মর্তুজা (১৩)। মোস্তাফিজুর রহমান ৫ রানে অপরাজিত থাকেন।