ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে গরু চুরির অপবাদ দিয়ে ইসমাইল ও হুরমুছের লোকজন তিন জনকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। তাদের মধ্যে দুজনকে রাতেই ছেড়ে দিলেও মোশারফ হোসেন (৩৫) নামে একজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
রবিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত ১২ দিকে তাদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে মোশারফের পরিবার অভিযোগ করেছে।
মোশারফের বোন হাবিবা অভিযোগ করেন তার ভাইকে বিনা কারনে ১২ ঘন্টা ধরে বাড়ীতে আটকিয়ে রেখে ইসমাইল হোসেন ও তার ছেলে বিজিবির সদস্য রোমানসহ লোকজন পিটিয়ে আহত করে। তার ভাইয়ের কোমর ভেঙ্গে ফেলায় সে উঠে দাড়াতে পারছে না বলেও অভিযোগ করেন।
সোমবার (২৭ জুন) সকাল ১১ টার দিকে ইসমাইলের বাড়ীতে গিয়ে দেখা গেছে, চোর সন্দেহে আটক মোশারফকে ব্যথানাশক বড়ি খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন ইসমাইল, হুরমুছসহ লোকজন। দর্শনার্থী মানুষের ভীড়ে মোশারফের বোনসহ আত্নীয়দের আত্নচিৎকারে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। তারপরও খোজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
নওশের আলী তালুকদার, শাহজাহানসহ লোকজন জানান, গরু চুরির অপবাদ দিয়ে ইসমাইল, হুরমুছসহ তার লোকজন রবিবার রাত ১২ টার টিকে মোফাজ্জল তার ছেলে আল আমীন ও মোশারফকে বুইদ্দাবাজার থেকে ধরে নিয়ে বাড়ীতে নিয়ে যায়। পিতাপুত্রকে মারপিট করে রোমান নামে এক বিজিবি সদস্য তাদের ছেড়ে দিয়ে মোশারফকে আটকিয়ে রেখে মারধর করে। এক পর্যায়ে মোশারফ বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়,ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আঃ বারেককে মিমাংসার প্রস্তাব দেয়া হয়। রোগীর অবস্থার কথা শুনে থানার পুলিশের সহযেোগীতার নেয়ার কথা বলে। তারা অভিযোগ করেন, আসলে গরু চুরির কোন ঘটনা ঘটেনি। জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে তাদেরকে মারপিট করা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠ তদন্ত করে ঘটনার বিচার চাই।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আঃ বারেক জানান, বিষয়টি রাতে যারা ধরে নিয়ে গেছে তারা আমাকে জানিয়ে ছিল। মারপিট বেশি করায় থানা পুলিশের সহযোগীতা নেয়ার কথা বলা হয়ে ছিল।
স্থানীয় চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রয়েল জানান, আটক মোশারফকে উদ্ধার করে চিকিৎসাটা এখন জরুরী।
ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, আমাকে বিষয়টি কেউ এখনো জানায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানোর কথা বলেন পুলিশের ঐ কর্মকর্তা।