গেল কোথায় অন্য ইয়াবা কারবারিরা

আজ শনিবার সকালে টেকনাফ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করছেন ১২০ জন ইয়াবা কারবারি। এ সংখ্যা কমবেশি হতে পারে। তবে কক্সবাজারের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিসহ ইয়াবা কারবারে আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা হিসেবে পরিচিত, এমন রাজনৈতিক নেতাদের অনেকের নাম আত্মসমর্পণ তালিকায় নেই। অথচ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ৭৩ শীর্ষ মাদক কারবারির তালিকায় বদির নাম রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ছাড়াও মন্ত্রণালয় ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের শনিবারের অনুষ্ঠানে থাকার কথা রয়েছে। অনুষ্ঠান সফল করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সেরে নিয়েছেন প্রশাসন। নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। সার্বিক কাজ তদারকি করতে কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার অবস্থান করছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। তথ্য মতে, আত্মসমর্পণকারীর মধ্যে শীর্ষ ইয়াবা কারবারি ২০ থেকে ৩০ জনসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় রয়েছেন ৫৫ থেকে ৬০ জন। রয়েছেন আবদুর রহমান বদির ভাইসহ অন্তত ১০ জন নিকটাত্মীয়। আত্মসমর্পণের জন্য প্রায় এক মাস আগে থেকে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন এসব ইয়াবা কারবারি। তাদের মধ্যে সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির ভাই আবদুল শুক্কুর, আবদুল আমিন, মোহাম্মদ শফিক, মোহাম্মদ ফয়সাল,বেয়াই শাহেদ কামাল, চাচাতো ভাই মোহাম্মদ আলম, ফুফাতো ভাই কামরুল ইসলাম, ভাগিনা সাহেদুর রহমান নিপু, খালাতো ভাই মং মং সিংসহ অন্তত দশজন নিকটাত্মীয় রয়েছেন।
এ ছাড়া রয়েছেন টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমদের ছেলে দিদার মিয়া, ভাইয়ের ছেলে মোহাম্মদ সিরাজ, হ্নীলার ইউপি সদস্য জামাল হোসেন, নুরুল হুদা মেম্বার, তার ভাই নুরুল কবির, টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর নুরুল বশর নুরশাদ, নারী কাউন্সিলর কহিনুর বেগমের স্বামী শাহ আলম, টেকনাফ সদর ইউপি সদস্য এনামুল হক, ছৈয়দ হোসেন মেম্বার, ছৈয়দ আহমদ ছৈতু, শফিকুল ইসলাম, মো: ইউনুছ, একরাম হোসেন, রেজাউল করিম মেম্বার, মোজাম্মেল হক, জোবাইর হোসেন, মারুফ বিন খলিল ওরফে বাবু, মোহাম্মদ ইউনুছ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহর দুই ভাই জিয়াউর রহমান ও আবদুর রহমানসহ শতাধিক ইয়াবা কারবারি। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
এ দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ৭৩ শীর্ষ মাদক কারবারির মধ্যে যারা এখনো পুলিশি হেফাজতে যাননি, তাদের মধ্যে আছেন আবদুর রহমান বদির ভাই টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মৌলভী মুজিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো: আলীর বড় ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ ও রাশেদ মোহাম্মদ আলী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাফর আহমদ ও তার ছেলে টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ও তার ছোট ভাই বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজ উদ্দিন, সাবেক জেলা যুবলীগের সহসভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল কালাম, হ্নীলা ইউপির চেয়ারম্যান ও হ্নীলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ কে আনোয়ার ও সাবরাং ইউপি সদস্য ও শাহপরীর দ্বীপ সাংগঠনিক শাখা যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম। তাদের নিয়ে স্থানীয়দের কৌতূহলের শেষ নেই। সবার মুখে প্রশ্ন শেষ পর্যন্ত তারা ধরা দেবেন কি?

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top