শয়তান জান্নাত থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর প্রতিজ্ঞা করে, যাদের কারণে আমি বিতাড়িত হলাম তাদেরকে আমি আল্লাহর পথ থেকে ফিরিয়ে জাহান্নামের পথে ধাবিত করবো। সেজন্য প্রত্যেক ভালো কাজের সময় শয়তান মানুষদেরকে নানাভাবে বাঁধা দিয়ে থাকে। এজন্য শয়তান ফজরের নামাজের সময় মানুষকে তিনটি ধাপে বাঁধাগ্রস্ত করে। তবে সেই বাঁধা অতিক্রম করে নামাজ সম্পন্ন করলে শয়তান পরাজিত হয়ে ফিরে যায় এবং বলে আমি থেমে থাকবো না পরবর্তীতে আবারো আসবো।
ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর দ-ায়মান। যার মধ্যে নামাজ হচ্ছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তম্ভ। মহা পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআনের বহু জায়গায় এই নামাজ সম্পর্কে তাকিদ দেয়া হয়েছে। এমনকি বলা হয়েছে, নিশ্চয় নামাজ মানুষকে সকল প্রকার অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।
তবে নামাজ আদায় করতে গেলে শয়তান জোরালোভাবে বাঁধা প্রদান করে। বিশেষ করে ফজরের নামাজের সময়। কারণ তখন মানুষ ঘুমিয়ে থাকে আর ঘুম থেকে উঠে নামাজ আদায় করা সত্যিই কষ্টের। তবে যারা খোদাভীরু ও মুত্তাকি তাদের জন্য এটা আনন্দের।
ফজরের নামাজের সময় তিনটি কাজ কষ্টসাধ্য। যার একটি আরমের ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া। আরেকটি ঠান্ডা পানি দিয়ে ওজু করা। আর অন্যটি হচ্ছে একাগ্রচিত্তে সালাত আদায় করা। আর শয়তান এই তিন সময়েই মানুষকে বাঁধা সৃষ্টি করে।
বিজ্ঞানের যুগে মানুষ ফজরের নামাজের জন্য ঘুম থেকে ওঠার জন্য সাধারণত মোবাইল বা ঘড়ি অথবা অন্য কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে এলার্মের ব্যবস্থা করে। যখন এলার্ম বাজে তখন ওই ব্যক্তির কানের কাছে গিয়ে শয়তান বলে, এটি খুব বিরক্তিকর। এটি বন্ধ করে রাখো। কিন্তু ওই ব্যক্তি যখন তার রবের ইবাদত করতে ঘুম থেকে উঠে যায় তখন শয়তান ব্যর্থ হয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়।
এরপর ওই ব্যক্তি যখন ঘুম থেকে উঠে ওযু করতে যায় তখন শয়তান বলে, তুমি এটি করো না। এই পানি অনেক ঠান্ডা। তার চেয়ে বরং তুমি ঘুমিয়ে পড়ো। কিন্তু ওই ব্যক্তি তার ঈমানের দৃঢ়তার কারণে এ যাত্রায়ও শয়তানকে পরাজিত করে। আর শয়তান থেমে না থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
সবশেষ ওই ব্যক্তি যখন ওযু করে পাকপবিত্র হয়ে নামাজে দাঁড়ায় তখন শয়তান বলে, তুমি এটি করতে পারো না। তুমি তো কিছুক্ষণ আগেই ঘুমিয়েছো। এর চেয়ে তুমি শান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ো। কিন্তু ওই ব্যক্তি আল্লাহর হুকুম পালন করলে শয়তান ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়। তবে শয়তানের কার্যক্রম এখানেই থেমে থাকে না। যাওয়ার সময় সে বলে যায় আগামী কাল আমি আবারো আসবো।