বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের কথা ভাবে না। তারা সব সময় লুটপাট ও নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে। দেশে যখনই কোনো সংকট দেখা দেয়, তখনই তারা আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠে।
তিনি বলেন, সিলেটের মানুষ যখন ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে তখন আওয়ামী লীগ সরকার শত কোটি টাকা খরচ করে বিদেশি শিল্পীদের এনে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের নামে আনন্দ উৎসবে ব্যস্ত। আনন্দ উৎসবের নামে ব্যয় করা শত কোটি টাকা যদি বন্যার্তদের দেওয়া হতো তাহলে দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হতো।
শুক্রবার সকালে সিলেট দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোড এলাকায় বন্যার্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে দুলু এসব কথা বলেন।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমানের আর্থিক সহযোগিতায় এবং সিলেট জেলা বিএনপির ব্যবস্থাপনায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু বলেন, দেশের মানুষ না খেয়ে মরছে, সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা বিদেশ সফরে গেছেন। মানুষের কাছে কেউ আসছেন না। এসব মানুষের প্রতি তাদের দরদ নেই।
তিনি বলেন, বিনা ভোটে এমপি-মন্ত্রী হলে তো দরদ না থাকারই কথা। এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভয়াবহ বন্যায় নিহতদের প্রকৃত তথ্য গোপন করছে সরকার। অবিলম্বে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরার দাবি জানান তিনি।
দুলু আরও বলেন, নিজেরা ভোট চুরি করে বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীদের জনপ্রতিনিধি হতে দেন না, আবার দুর্যোগে বিএনপি নেতারা কী করছেন তার খবর নেয় সরকার। বিএনপি নেতাকর্মীদের বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দুর্ভোগ লাগব না হওয়া পর্যন্ত থাকার নির্দেশ দেন তিনি।
এর আগে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বন্যায় সরকার যে বরাদ্দ দিয়েছে তা খুবই অপ্রতুল। সিলেটের মানুষ যখন অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী- এমপিরা আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছেন। কেউ কেউ গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বানভাসি মানুষের পাশে আছে। আপনারাই সময় মতো এর কঠোর জবাব দেবেন।
এ সময় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, দক্ষিণ সুরমা বিএনপির সভাপতি হাজী সাহাব উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদসহ দলটির স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।