সবজির কেজি ১০০ টাকা দাম বেড়েছে মুরগিরও

রাজধানীতে করল্লা, বরবটি, ঢেঁডস, পটল, কচুর লতিসহ কয়েকটি সবজির দাম ১০০ টাকা ছুঁয়েছে। আর এক মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম ১২০ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬০ টাকা। সবজির দাম বৃদ্ধির জন্য শীতের বিদায়কে দায়ী করা হলেও মুরগির দাম বৃদ্ধির সুস্পষ্ট কোনো কারণ বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। তবে সবজি-মুরগির দাম বৃদ্ধির সুবাদে কপাল খুলেছে মাছ, গরু ও খাসির গোশত বিক্রেতাদেরও। সুযোগ বুঝে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন তারাও। ঢাকায় গতকাল প্রতি কেজি গরুর গোশত ৪৮০ থেকে ৫২০ টাকা, খাসির গোশত ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং পাকিস্তানি জাতের মাঝারি আকারের প্রতি হালি কক মুরগি ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।
খিলগাঁও তালতলা সিটি করপোরেশন কাঁচাবাজারের বিক্রেতা শফিউল গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, শীতের বিদায়বেলায় বেশির ভাগ সবজির প্রতি গ্রাহকের আগ্রহ নষ্ট হয়ে গেছে। বাঁধা কপি এখন অনেক শক্ত, মজতে চায় না। ফুলকপির স্বাদ নেই। মুলা-শালগম তো খাওয়াই যায় না। শিম বেগুনও তেমন বিক্রি হয় না। তিনি বলেন, ক্রেতাদের আগ্রহ এখন করল্লা, উসতা, ঢেঁডস, কচুর লতি প্রভৃতির দিকে। এগুলোর দাম ১০০ টাকার ওপরে জানান তিনি।
বিক্রেতাদের দাবি, শীতের মওসুম শেষ হওয়ায় পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। তাই এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। তা ছাড়া মালামাল পরিবহনের খরচও বেড়েছে। নতুন সবজির আমদানি বাড়লে দাম স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা। খুচরা বাজারে গতকাল প্রতি কেজি টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আলু ২০ টাকায় বিক্রি হয়।
এ ছাড়া বাজারে প্রতিটি বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকায়, জালি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি আঁটি কলমি ও লাল শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউ শাক ৪০ টাকায়, পালং শাক ১৫ টাকা এবং পুঁইশাক ২৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। কাঁচামরিচ প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি গাজর ৩০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও শালগম ২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় এক মাস ধরে মুরগির দাম বাড়তি। জানুয়ারির মাঝামাঝিতে যেখানে বয়লার মুরগি ছিল ১২০ টাকা কেজি। আর এক মাসের ব্যবধানে তা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। খুচরা বাজারে গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়।
যা গত সপ্তাহে বিক্রি করেছি ১৪৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। পাশাপাশি দাম বেড়েছে লাল লেয়ার মুরগিরও। লাল মুরগি আগের সপ্তাহে বিক্রি হয় ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকায়। তা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকায়। অর্থাৎ দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। আর আগের সপ্তাহের মতোই পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হয় ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top