দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ছদ্মবেশে পালিয়ে থেকেও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি শেখ ফরিদের (৩৫) শেষ রক্ষা হলো না। অবশেষে সোমবার (২০ জুন) রাত তিনটার দিকে ময়মনসিংহের র্যাবের গােয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। শেখ ফরিদ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার বাদেকল মাওনা এলাকার আমির হোসেনের ছেলে।
র্যাব-১৪’র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর গুলশান থানার মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে সিএনজি ডাকাতির সময় চালক শহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে সিএনজি নিয়ে আসামী শেখ ফরিদসহ অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। পরে সিএনজি চালক শহিদুলের ভাই মাে. বাবু মােল্লা বাদি হয়ে গুলশান থানায় খুনসহ ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে ডিএমপির গােয়েন্দা বিভাগ আসামি শেখ ফরিদকে গ্রেফতার করে আদালতে সােপর্দ করলে স্বেচ্ছায় স্বীকারােক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। প্রায় তিনবছর জেল হাজতে থাকার পর ২০১০ সালে জেল হাজত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগােপনে চলে যান শেখ ফরিদ। এদিকে এই মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামি শেখ ফরিদকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। কিন্তু সে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিজের পরিচয় গােপন করে গাঁ ঢাকা দিয়ে ছদ্মবেশে পালিয়ে ছিল। দীর্ঘদিন গােয়েন্দা তৎপরতা এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকা শহরের যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি টায়ার ফ্যাক্টরীর ভিতর থেকে শহিদুলকে সোমবার গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাবের চৌকস দল।