সরিষাবাড়ীতে ব্রীজে ভাঙন: দুর্ভোগে ৫০ গ্রামের মানুষ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ভারী বর্ষণে শিশুরা-বাঘমারা ব্রীজের সংযোগ সড়ক আবারও ভাঙনের কবলে পড়েছে। ভারী বষর্ণে এ নিয়ে তিনবার ভাঙনের মুখে পড়ল ওই ব্রীজের সংযোগ সড়কটি। সরকারীভাবে বরাদ্দ এলেও ব্রীজের সংযোগ সড়ক সংস্কারে নামে নয় ছয় সঠিকভাবে কাজ না করার ফলে আবারও ভেঙে গেছে বলে অভিযোগ করে স্থানীয় এলাকাবাসী।

এছাড়া সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে ব্রীজটি। জরুরী ভিত্তিতে সংযোগ সড়কটি স্থায়ীভাবে মেরামতের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

জানা যায়, সরিষাবাড়ী উপজেলা সদরের সঙ্গে সাতপোয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও পাশের উপজেলা মাদারগঞ্জে সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ শিশুয়া বাগমারা সেতুটি। ঝারকাটা ঝিনাই নদীর উপর নির্মিত ব্রীজের পশ্চিম পাশে ২০২০ সালের বন্যায় ভেঙে যায় এতে সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ উপজেলা বগুড়া সারিয়াকান্দি সিরাজগঞ্জের কাজীপুরসহ প্রায় ৫০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগে পড়ে।এবারও বন‍্যা আসার আগেই ভারী বর্ষণের ফলে তৃতীয়বারের মতো ব্রীজের সংযোগ সড়ক ভেঙে গেছে। সংযোগ সড়কটি দ্রুত স্থায়ীভাবে মেরামত না করলে ব্রীজটি ভেঙে যেতে পারে বলে এলাকাবাসী জানায়।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, সরকারীভাবে ২০২০/২০২১ অর্থবছরে লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ আসলেও সংযোগ সড়কটি মেরামত না করে কিছু কর্মকর্তা ও নেতাকর্মীরা যোগসাজসে উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে বলে জানান।তারা আরও বলেন, লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়েও অদৃশ্য কারণে কেন সংযোগ সড়কটি নামমাত্র খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০টাকা কেজি চাউলের খালি বস্তা মাটি ভরে সংস্কার করে বাকি টাকা কর্মকর্তা ও নেতাদের পকেটে।

পৌর আওয়ামীলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রাজু আহমেদ জানান, শিশুয়া বাঘমারা ব্রীজের সংযোগ সড়কটি সংস্কার করার জন‍্য গত বছর আমার ব‍্যক্তিগত তহবিল থেকে ২লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলাম।

সাতপোয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, ভেঙে যাওয়া সংযোগ সড়কটি পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলামকে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Share this post

scroll to top