দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এরমধ্যে সিলেটের ৮০ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। ভারতের মেঘালয় ও আসামে বৃষ্টি হওয়ায় বাংলাদেশের অধিকাংশ নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে আগামী দুই দিনের মধ্যে জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনাসহ ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী এলাকা বন্যায় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বিবিসি বাংলার তথ্য মতে, সারাদেশের ১০৯টি নদী পর্যবেক্ষণ করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এরমধ্যে ৯৫টি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীগুলোর পানি আরও বাড়তে পারে। কারণ ভারতের বৃষ্টি পানি দেশের কুড়িগ্রাম, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা থেকে প্রবেশে করে আরও এগিয়ে আসছে।
এর ফলে জামালপুর, বগুড়া, শেরপুর, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, লালমনিরহাট, নীলফামারি, পাবনা, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভিবাজার, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, শরীয়তপুর ইত্যাদি এলাকা প্লাবিত হওয়ার বেশি সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে বর্তমানে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, লালমনিরহাট, মৌলভীবাজার, নীলফামারী রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। নদীর পানি বাড়তে থাকায় এসব জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চেরাপুঞ্জিতে আরও ৫৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। গত তিনদিনে এখানে প্রায় আড়াই হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আসামে বৃষ্টি হতে পারে অন্তত ৩০০ মিলিমিটার। এসব এলাকার বৃষ্টির পানি বাংলাদেশের সিলেট ও কুড়িগ্রাম দিয়ে নেমে আসবে।
মেঘালয় ও আসামে বৃষ্টি না কমা পর্যন্ত বন্যা বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নতির আশা দেখছেন না আবহাওয়াবিদরা।