টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের ভোটারদের উদ্দেশ করে হুঁশিয়ারি বক্তব্য দেওয়ায় সাদিকুল ইসলাম সাদিক নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নির্বাচন কর্মকর্তা। মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলাটি করেন।
এর আগে তার বক্তব্যের জেরে গত ১২ জুন অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। অভিযুক্ত সাদিকুল ইসলাম সাদিক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও মির্জাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
বাদী খন্দকার মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সাদিকুলের বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’
পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘মামলা পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত ৮ জুন (বুধবার) বিকালে উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের আমলীতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রহিমের নির্বাচনি সভায় সাদিকুল ইসলাম সাদিক বক্তব্য দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আজকেও বলে যেতে চাই, ১৫ তারিখ ভোট হবে সারাদিন এবং নৌকা মার্কায় ভোট হবে। যারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন, তারাই কেন্দ্রে আসবেন। আর যারা নৌকায় ভোট দিতে নারাজ, তারা কেন্দ্রে আসবেন না। আমরা কিন্তু কেন্দ্রের আশপাশেই অবস্থান করবো। এখানে দুই হাজার ৪০০ ভোট রয়েছে। দুই হাজার ভোট কাস্ট হলেও সেই দুই হাজার ভোট নৌকার থাকতে হবে।’
তার বক্তব্যের সময় স্থানীয়রা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে নির্বাচনি এলাকায় ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আগামীকাল বুধবার (১৫ জুন) জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১৯ ইউনিয়নে নির্বাচন হবে। বিভিন্ন কারণে তিনটি ইউনিয়নে নির্বাচন স্থগিত করেছে কমিশন।