গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে মোছাম্মদ শাহানাজ পারভীন স্বপ্না ওরফে শশী (২৭) নামে এক যৌনকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় রনি মোল্লা নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। আটককৃত রনি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের কৌড়ি গ্রামের সোহরাব মোল্লার ছেলে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর যৌনকর্মী শশীর ঘরে খদ্দের হয়ে প্রবেশ করে রনি। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রনি বিশেষ মুহুর্তে তার কাছে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে শশীর গলায় টান মারে। এ সময় শশী চিৎকার দিয়ে দৌড় দেয়। এ সময় রনি তাকে পেছন থেকে ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে। এতে শশী ঘরের দরজা খুলে সেখানে পড়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা ছুটে এসে রনিকে ছুরিসহ হাতেনাতে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
এদিকে আহত শশীকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে নেয়ার পথেই শশীর মৃত্যু হয়।
দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বাসিন্দা সেলিনা খাতুন জানান, সম্প্রতি একই কায়দায় যৌনকর্মীদের গলাকেটে হত্যা ও হত্যাচেষ্টায় পল্লীর বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতারিত হয়ে জীবনের সব কিছু হারিয়ে এই অন্ধকার জীবন বেঁছে নেয়া মানুষগুলোকে এভাবে হত্যার বিষয়টি এখানে নতুন করে উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করেছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, ঘাতক রনি ও তার অপর বন্ধু এর আগে একাধিক বার শশীর ঘরে এসেছিল। সে সময় যৌনকর্মী শশীর নগদ টাকা ও স্বণালংকারের উপর নজর পড়ে তাদের। তারা শশীকে খুন করে তার ঘর থেকে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারগুলো লুট করার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী রনি খদ্দের হয়ে শশীর ঘরে প্রবেশ করে এবং তার অপর বন্ধু বাইরে অপেক্ষা করতে থাকে। রনি পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শশীর গলায় ছুরি চালায়।
তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে রনি হত্যাকান্ডের বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তার অপর সহযোগীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে। এ ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।