জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ‘আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু হয়েছে। ভারত-মালয়শিয়া ও ইংল্যান্ড থেকে আগত বরেণ্য শিক্ষাবিদ-গবেষকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে কনফারেন্সের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত প্যারালাল সেশনের মধ্যদিয়ে গবেষকরা তাদের প্রবন্ধ উপস্থাপন শুরু করেন।
এখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর চিফ প্যট্রন হিসেবে উপস্থিত থেকে কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন।
এসময় বক্তব্য দেন ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের প্রফেসর ড. ডেভিড ডেনিস, ভারতের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রফেসর ড. বরুন কুমার চক্রবর্তী, মালয়শিয়া থেকে আগত অধ্যাপক প্রফেসর ড. মো. ইউসুফ বিন হামিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
স্বাগত বক্তব্য দেন কনফারেন্স আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ড. শেখ মেহেদী হাসান। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর আমন্ত্রিত অতিথিদের হাতে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে স্বাগত জানান।
এছাড়া আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
অধিবেশনে উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি গবেষণামনস্ক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এমন একটা পরিবেশ চাই যেখানে জ্ঞানের চর্চা হবে, গবেষণা হবে। সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন এই তিনকে মোটো ধরে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কনফারেন্সের সফলতা কামনা করে উপাচার্য বলেন, আমাদের সম্পদ সীমিত, অভিজ্ঞাতাও অল্প। তবুও আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতা দিয়ে আয়োজন করেছি। সেজন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত এই কনফারেন্সের সফলতা কামনা করি।
কনফারেন্স সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বিদেশী অতিথিরা বলেন, এ ধরনের কনফারেন্সের মধ্যদিয়ে যে জ্ঞানের সৃষ্টি হয় তা আমাদের সমাজ ও মানব জীবনে বিশাল প্রভাব রেখে থাকে। অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে আন্তর্জাতিক এই কনফারেন্স আয়োজনের মধ্যদিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সক্ষমতার সাক্ষর রেখেছে।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ড. শেখ মেহেদী হাসান জানান, এবারের কনফারেন্সে ২৬৪ টি জমা পড়া গবেষণা প্রস্তাবের সারাংশের মধ্যে যাচাই বাছাই করে আমরা প্রায় ৮৩টি সারাংশ নির্বাচিত করেছি। যা দুইদিন ব্যাপী আয়োজিত কনফারেন্সে উপস্থাপন করা হবে। প্যারালাল সেশনের মধ্যদিয়ে কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হবে। আগামি ১৫ জুন কনফারেন্সটি শেষ হবে।