শেরপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে এমদাদুল হক লালু (৪৫) নামে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এমদাদুল হক লালু শেরপুর সদর উপজেলার মুকসেদপুর হাজিবাড়ির মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মো. গোলাম কিবরিয়া বুলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে শেরপুর সদর উপজেলার মুকসেদপুর গ্রামের এমদাদুল হক লালুর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ছয় ঘড়িপাড়া আব্দুর রশিদের মেয়ে রোকসানা খাতুনের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই এমদাদুল হক যৌতুকের জন্য নানাভাবে চাপ ও শারীরিক নির্যাতন করতেন। একপর্যায়ে ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাতে দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী রোকসানাকে মারধর করেন এমদাদুল হক।
এতে রোকসানা গুরুতর আহত হলে তার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির সময় রোকসার মাথা, কপাল, কাঁধ ও কনুইসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ৭ সেপ্টেম্বর রাত ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ভিসেরা রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ দেখানো হয় বিষক্রিয়ায় নয়, নির্যাতনে মারা গেছেন রোকসানা।
এ ঘটনায় ২৭ সেপ্টম্বর নিহতের ভাই ডা. গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে এমদাদুল হকসহ ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরপুর সদর থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন আসামি এমদাদুল হককে অভিযুক্ত করে ও অপর আট আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ এ রায় দেন।