হজের খরচ বেড়েছে ৫৯ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী এই তথ্য জানান।
ধর্মমন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘প্যাকেজ ঘোষণার পর সৌদি সরকার কর্তৃক অতিরিক্ত কোনো চার্জ আরোপ করা হলে তা প্যাকেজ মূল্য হিসেবে গণ্য হয় এবং হজযাত্রীকে তা পরিশোধও করতে হয়। একইসাথে কোনো অর্থ অব্যয়িত থাকলে তা হাজীদের ফেরত প্রদান করা হয়’ এই শর্তে ১১ মে ২০২২ তারিখে হজ প্যাকেজ ২০২২ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে সৌদি সরকার কর্তৃক হজের ঘোষণার বিলম্বের জন্য এবং সৌদি আরব থেকে প্রকৃত খরচের বিবরণী না পাওয়ায় সাম্ভাব্য ব্যয় বিবেচনা করে প্রভিশনাল হজ প্যাকেজ প্রস্তুত করা হয়েছিল।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২৫ মে ২০২২ খ্রিস্টাব্দ সৌদি কর্তৃপক্ষ মিনায় অবস্থান স্থালের ভিত্তিতে ৪ ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করে ৪ ধাপের ব্যয়ের বিবরণ নির্ধারণ করে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন ব্যয়ের ধাপ ডি ও সি প্রকাশ করেছে। ওই তথ্য অনুযায়ী মোয়াল্লেম ফি ‘সি’ অনুসারে ৮,৬৪০ সৌদি রিয়াল এবং ‘ডি’ অনুসারে ৭,৪৯০ সৌদি রিয়াল ধার্য্য করা হয়। উক্ত তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে মোয়াল্লেম ফি ‘সি’ অনুসারে ১,০৫,৫৯৭ টাকা এবং মোয়াল্লেম ফি ‘ডি’ অনুসারে ৭৪,৫০০ টাকা বৃদ্ধি পায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উন্নতমানের বাস সার্ভিস, ট্রেন ভাড়া এবং বাড়িভাড়া থেকে উভয় প্যাকেজে কিছু অর্থ সাশ্রয় করা গেছে। উক্ত সাশ্রয় এবং বাংলাদেশের হজযাত্রীদের আর্থসামাজিক অব্স্থা ও হজযাত্রীদের প্রতি বর্তমান সরকারের সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখে আমরা উভয় প্যাকেজে সৌদি আরবে আবশ্যকীয় ব্যয় ৫৯,০০০ টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এ লক্ষ্যে অদ্য ২৬-০৫-২০২২ খ্রি. তারিখে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সভা সর্বসম্মতিক্রমে এই ব্যয় বৃদ্ধি অনুমোদন করেছে। এই টাকা গ্রহণের জন্য সরকার ২৮, ২৯ ও ৩০ মে সময় নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।