ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বাঁশ কাটার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাইদের মধ্যে বিবাদের জের ধরে গৃহবধূ জাহানারা হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বুধবার (১৮ মে) সকালে নিহতের স্বামী ইদ্রিছ আলী খাঁ বাদি হয়ে ১১ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।পুলিশ এ হত্যাকান্ডের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৭ জনকে গ্রেফতার করে ময়মনসিংহ আদালতে পাঠিয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন বাহেলা গ্রামের মোঃ সিদ্দিক খাঁর পুত্র রাসেল মিয়া (২৫), মৃত ঈমান হোসেন এর পুত্র মোঃ মোবারক (২৫), মৃত লাল হোসেন খাঁর পুত্র নিহতের ভাসুর মোঃ সিদ্দিক খাঁ (৫০), মৃত সুরুজ আলীর পুত্র মোঃ আঃ বারেক (৫৮), নূরুল আমিনের পুত্র খাইরুল ইসলাম (২২) ও সুজন মিয়া (২৬), মৃত আঃ হেকিমের পুত্র নূরুল আমিন (৫০)। তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তারাকান্দা উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বাহেলা গ্রামে বাড়ির জায়গা নিয়ে নিহতের স্বামী ইদ্রিছ আলীর সাথে তাঁর সহোদর ভাই সিদ্দিক মিয়া ও হাবিবুর রহমানের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত সোমবার ইদ্রিছ আলী বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে বাঁশ কাটতে গেলে তাঁর ভাই সিদ্দিক মিয়ার সাথে বাকবিতন্ডা হয়।
এ নিয়ে মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সহোদর ভাই সিদ্দিক মিয়া ও হাবিবুর রহমান সহ ৮-১০ জন ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইদ্রিছ মিয়ার (৫০) উপর হামলা করে তাকে আহত করে। এসময় তাঁর স্ত্রী জাহানারা বেগম স্বামীকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও কুপিয়ে-পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আহত স্বামী-স্ত্রীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে জাহানারা বেগম মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত জাহানারার স্বামী ইদ্রিছ আলী খাঁ বাদি হয়ে বুধবার (১৮ মে) সকালে তারাকান্দা থানায় সিদ্দিক খাঁর ছেলে রাসেলকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। হত্যার কয়েক ঘন্টার মাঝেই তারাকান্দা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ৭জনকে গ্রেফতার করেছে।
তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের জানান, আপন ভাইদের মধ্যে মারামারিতে জাহানারা খাতুন হত্যার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ৭ জন আসামি গ্রেফতার করে বুধবার ময়মনসিংহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাকি আসামিদেরকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।