অর্থ পাচারের দায়ে ভারতে আটক পি কে হালদার আওয়ামী লীগের কেউ নন বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা চাঁদাবাজ, মাদক কারবারি, চোরা কারবারি ও সন্ত্রাসের সাথে জড়িত, দলে কোনোভাবেই তাদের স্থান হবে না।
সোমবার (১৬ মে) সকালে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তার রাজধানীর বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি একথা বলেন।
অর্থ পাচারকারী আওয়ামী লীগ নেতাদের নামের তালিকা প্রচার করতে সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, অর্থ পাচারকারীর নামের তালিকা যদি প্রচার করতেই হয়, তাহলে সবার আগে আপনাদের দলের দন্ডিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম চলে আসবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে তথ্য-প্রমাণ দিয়ে কথা বলার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বাড়াবাড়ি করবেন না, বেশি বাড়াবাড়ি ভালো নয়, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন।
পি কে হালদারের বিষয়ে কাদের বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের কেউ নয়, তবুও তিনি অর্থ পাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত, তার বিচার প্রক্রিয়া আইনের মাধ্যমে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা চাঁদাবাজ, মাদক কারবারি, চোরা কারবারি ও সন্ত্রাসের সাথে জড়িত, দলে তাদের স্থান কোনোভাবেই হবে না। ভালো লোক ও ত্যাগীদের দলে মূল্যায়ন করতে হবে।
পকেট ভারী করার জন্য খারাপ লোকদের দলে না টানতে নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না, ক্ষমতা চিরকাল থাকবে না।
আওয়ামী লীগকে এখন থেকেই সুসংগঠিত ও স্মার্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে তুলে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অংশ গ্রহণের প্রস্তুতি নিতে বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক।
শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন বলেই অবরুদ্ধ গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশে এসেছিলেন বলেই পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান, আগামী মাসেই এই সেতুর উদ্বোধন করা হবে।
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আমিরুল আলম মিলন, অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, পারভীন জামান কল্পনা এবং মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেকসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।