রেলের আলোচিত টিটিই শফিকুল ইসলামকে সম্পূর্ণ নির্দোষ বলে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। সোমবার (১৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহিদুল ইসলামের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।
তিনি জানান, টিটিই শফিকুল ইসলাম সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ওই দিনের ঘটনার জন্য সুন্দরবন এক্সপ্রেসের গার্ড শরিফুল ইসলামের প্ররোচনায় যাত্রী ইমরুল কায়েস প্রান্ত লিখিত মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের জন্য দুজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান বিভাগীয় সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বাবু বলেন, সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। তদন্তকালে ট্রেনে কর্তব্যরত সংশ্লিষ্ট ৯ জনের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। এতে টিটিই শফিকুল ইসলাম নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ট্রেনের গার্ড শরিফুল ইসলাম প্ররোচনার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন। দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। অভিযোগকারী ইমরুল কায়েস প্রান্তকে গণমাধ্যমের সামনে এসে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য বলা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ মে) পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকায় তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দাখিল করতে পারেনি।
গত ৮ মে (রোববার) রেলমন্ত্রীর নির্দেশে বরখাস্ত টিটিই শফিকুল ইসলামকে দায়িত্বে পুনর্বহাল করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। রিপোর্ট দাখিলের সময়সীমা তিনদিন নির্ধারণ করা হলেও পরে আরও দুদিন বাড়িয়ে পাঁচদিন করা হয়। বৃহস্পতিবার ছিল রিপোর্ট দাখিলের শেষ দিন।
পাবনার ঈশ্বরদী রেল জংশন থেকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে (৫ মে) টিকিট ছাড়া ট্রেনে ওঠেন ‘রেলপথমন্ত্রীর আত্মীয়’ পরিচয়দানকারী তিন যাত্রী। টিকিট না কাটলেও তারা রেলের এসি কেবিনের সিট দখল করেন। এতে রেলের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) তাদের জরিমানা করেন। পরে ‘রেলপথমন্ত্রীর আত্মীয়’ পরিচয়দানকারী ওই তিন যাত্রী তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয় বলে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। এতে বৃহস্পতিবার রাতে ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে রেল কর্তৃপক্ষ।