ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে শিউলি আক্তার নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগে উঠেছে। স্বামী রাজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূ থানায় মামলা করলে গতকাল রোববার (১৫ মে) বিকেলে অভিযুক্ত রাজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
জানা যায়, শিউলি আক্তার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরশিহারি গ্রামের রিকশা চালক সাইদুল ইসলামের মেয়ে। গত ৮ মাস আগে শিউলির সঙ্গে নেত্রকোণা সদর উপজেলার ঝগড়াকান্দা গ্রামের মৃত লাল চান মিয়ার ছেলে রাজমিস্ত্রি শ্রমিক রাজন মিয়া ওরফে রফিকের (২০) সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের সময় ৪৫ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়া হয় রাজন মিয়াকে। কিন্তু গত রমজানের আগে থেকে আবারো যৌতুক চেয়ে শিউলির ওপর নির্যাতন শুরু করে। যৌতুক হিসেবে পুনরায় ২০ হাজার টাকাসহ ঘরের আসবাবপত্র ও বাসনকোসন চাইলে শিউলি দিতে অস্বীকার করায় শুরু হয় তার ওপর নির্যাতন।
বগত শুক্রবারও স্বামী রাজন, তার মা ও ভাবি মিলে তাকে মারধর করে। হাত-পা বেঁধে মারধর শেষে শরীরের আঘাতের স্থানে মরিচের গুঁড়া ঢেলে ফেলে দেয় পুকুরে। এরপর শুক্রবার রাতে শিউলিকে চরশিহারি গ্রামে তার বাবার বাড়ির সামনে রেখে পালানোর চেষ্টা করে রাজন। পরে স্থানীরা তাকে আটক করে শনিবার রাতে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাছিনুর রহমান জানান, নির্যাতিতার অভিযোগে দু’জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত রাজন মিয়াকে রোববার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।