ওবায়দুল কাদেরকে বিএনপির দায়িত্ব নিতে বললেন মির্জা ফখরুল

বিএনপি নির্বাচনে যাবে– আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ওবায়দুল কাদেরকে বিএনপির দায়িত্ব নিতে বলেন। তিনি কিভাবে অন্য একটি দলের বক্তব্য নিজে দেন!

মঙ্গলবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রী কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বেলা ১২টায় এ যৌথসভা শুরু হয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলতে চাই বর্তমানে হাসিনার অবৈধ সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। এর মধ্যে ফাঁক-ফোঁক বা কোনো কিন্তু নেই। এ সরকারকে যেতে হবে। ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে। নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচনের সুযোগ ও পরিবেশ তৈরি হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ৩০০ আসনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হবে। এ প্রসঙ্গে এ প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই প্রশ্নের জবাব তো নির্বাচন কমিশন দিয়েছে। আমার আর কোনো কথা বলতে হবে বলে মনে হয় না। এই সরকার নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথে যে পুরোপুরি জড়িত আছে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে এটাই তার বড় প্রমাণ। প্রধানমন্ত্রী কিভাবে বলেন, ৩০০ আসনে ইভিএম দিয়ে নির্বাচন হবে। এই দায়িত্ব তো পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের। এটা দিয়ে প্রমাণিত হয় অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা অর্থাৎ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হচ্ছে।

দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলেছিলেন, ঈদের পর আন্দোলন দেখিয়ে দেয়া হবে। ঈদ শেষে আন্দোলনের ঘোষণা আসবে কি-না জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের প্রত্যেকটি আয়োজন আন্দোলনের অংশ। এই যে আমরা সন্ত্রাস বিরোধী কর্মসূচি দিয়েছি। শাহাদাত বার্ষিকীও আন্দোলনের অংশ। আপনারা এতো অস্থির হবেন না। আপনারা যেটা দেখতে চান, তা খুব শিগগিরই দেখতে পাবেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে টানা আন্দোলন চলছে। আমরা দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলনের মধ্যেই আছি।

শ্রীলঙ্কার অবস্থা থেকে সরকারের শিক্ষা নেয়া উচিৎ বলে মনে করছেন কি-না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার কোনো দিনও শিক্ষা নেবে না। যদি নিতো তাহলে গত ১০ বছরে শিখতো। শ্রীলঙ্কা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, এই সরকার বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপিয়ে পড়বে।

এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Share this post

scroll to top