লক্ষীপুরে নিখোঁজের ৪৮ ঘন্টা পর জেলা কারাগারের পিছনের একটি বাড়ি থেকে চার কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ড.এ এইচ.এম কামরুজ্জামান। রোববার রাত ১০টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
পুলিশ সুপার ড.এ এইচ.এম কামরুজ্জামান জানান, অভাব অনটন ও কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হয় চার কিশোরী। তারা কাজ করে পরিবারের আর্থিক অভাব অনটন দূর করতে বাবা-মার অগোচরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। অন্যে কারও প্ররাচনা বা তাদের কেউ অপহরন করা হয়নি।
তারা স্বেচছায় কাজের সন্ধানে পালিয়ে আসে। তারপরও বিষয়টি নিয়ে আরো তদন্ত করা হচ্ছে। চার কিশোরীকে পরিবারের জিম্মায় দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান,ডিএসবির ওসি একেএম আজিজুর রহমান মিয়া ও কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোলায়মান হোসেনসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন। চার কিশোরী উদ্ধার হওয়ায় পরিবারের সবাই সন্তোষ প্রকাশ করে পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
উদ্ধার হওয়ায় নিখোঁজ কিশোরীরা হচ্ছে উপজেলার চরকাদিরার বাদামদতলী এলাকার মো. ইব্রাহিম হোসেনের মেয়ে জোবায়েদা আক্তার,জয়নাল আবেদিনের মেয়ে মিতু আক্তার, সামছুল আলমের মেয়ে সামিয়া আক্তার ও আবুল খায়ের চন্নুর মেয়ে সিমু আক্তার। তাদের ৪জনেরই বয়স ১২ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। তারা সম্পর্কে মামতো,ফুফাতো ও চাচাতো বোন।
সামিয়া আক্তার নিহা স্থানীয় দক্ষিন চরকাদিরা সিদ্দিকীয় দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেনীর শিক্ষার্থী। এছাড়া জোবায়েদা আক্তার,মিতু আক্তার ও সিমু আক্তার একই এলাকার দক্ষিন চরকাদিরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য,শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাদামতলী এলাকা থেকে চার কিশোরী বাড়ি থেকে বের হয়। নিখোঁজ কিশোরী সামিয়া আক্তার নিহার নোয়াখালীর আন্ডারচর এলাকায় নানার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল তারা।
কিন্তু সেখানে তারা যায়নি। এর আগে পথে নিখোঁজ হন চার কিশোরী। পরে আত্বীয়স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে তাদের সন্ধান না পেয়ে শনিবার রাতেই থানায় সাধারন ডায়েরী করেন নিখোঁজ কিশোরীদের আত্বীয় আকলিমা আক্তার।