জিয়া-এরশাদ-খালেদারা বাংলাদেশে চিন্তাভাবনার মধ্যে রবীন্দ্রনাথকে বিকশিত হতে দেননি বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৮ মে) সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তিন দিনব্যাপি কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথ শুধু একজন কবি নন, তিনি সকল ক্ষেত্রে পথ দেখানো একজন মহাপুরুষ। সবদিকে তার বিচরণ আছে। এটা দুঃখজনক যে, রবীন্দ্রনাথকে আমরা অনুসরণ করিনি। তাঁর সাহিত্যের উর্বরতার জায়গায় যেতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথকে হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন। আমরা রবীন্দ্রনাথকে ধারণ করতে পারলে আরো মানসম্মত জাতিতে পরিণত হতাম। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডকে জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা সাধারণ হত্যাকাণ্ড হিসাবে দেখেন; আসলে এটি সাধারণ হত্যাকাণ্ড নয়। জিয়া, এরশাদ, খালেদারা বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথকে বিকশিত হতে দেননি।
তিনি বলেন, আমাদের হৃদয়ের মধ্যে চিন্তাভাবনার মধ্যে রবীন্দ্রনাথকে ধারণ করার পথটি তারা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। রবীন্দ্র গবেষকদের নির্যাতন করা হয়েছিল; তাদের সময়ে রবীন্দ্র গবেষণা তেমনভাবে হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবীন্দ্র গবেষণার ব্যবস্থা করেছেন। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়াদের সময়ে রবীন্দ্র মেলার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে বাজেট ছিল না; তাদের বাজেট ছিল হাউজি খেলা ও নাচের জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে।
জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক, সংসদ সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ আজম, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. শামীম খান, সাবেক সংসদ সদস্য ও শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চয়ন ইসলাম, শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর মো. আজাদ রহমান, শাহজাদপুর পৌর মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিরাজগঞ্জ ও পাবনার নৌপথ এবং নদীবন্দরগুলোর আরো উন্নয়ন করা হবে। বাঘাবাড়ী নৌপথটিকে এক নম্বর রুটে উন্নীত করা হবে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে এখানকার নৌপথের উন্নয়ন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী ফিতা কেটে রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। পরে তিনি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।