বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, ‘বিএনপি ১৩ বছরে ২৬ বার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। বিএনপি আন্দোলনের কথা বললে মানুষ হাসে, মানুষ বলে ১৩ বছরে আন্দোলন করতে পাড়ল না, কোন বছর পাড়বে। এ বছর না ওই বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর।’
তিনি বৃহস্পতিবার (৫ মে) দুপুর ২টার দিকে তার নোয়াখালী-৫ নির্বাচনী এলাকার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ আমি আমার যারা ভোটার, আপনজনের কাছে আসতে পেড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে। এটা অন্যরকম অনুভূতি। যা প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নাই। আমি নিজ ঘরে এসে ভাত খেয়েছি, নামাজ পড়েছি, পিতা-মাতার কবর জিয়ারত করেছি, আমার খুব ভালো লেগেছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু আগামী জুন মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো: শহিদুল ইসলাম, ফেনী-২ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক খায়রুল আনম সেলিম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শাহাব উদ্দিন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, এলিন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, এলিন গ্রুপের পরিচালক ও আ.লীগ নেতা গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল, আ.লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইস্কান্দার মির্জা শামীম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: খোরশেদ আলম চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান প্রমুখ।
মন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জার আমন্ত্রণে দীর্ঘ ৩৩ মাস পর তার নির্বাচনী এলাকায় (নোয়াখালী-৫ কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট) এসেছেন। মহামারী করোনা ও মন্ত্রীর অসুস্থ থাকার কারণে দীর্ঘ ৩৩ মাস এলাকায় আসেন। এর আগে তিনি ২০১৯ সালে ১৩ আগস্ট ঈদুল আযহা উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন।
দুপুর ১২টায় তিনি তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে তার ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাসহ উপজেলা আ.লীগের নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং একাত্তরের রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ওবায়দুল কাদেরকে স্বর্ণপদক উপহার দেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জাসহ উপজেলা আ.লীগের নেতাকর্মীরা। এর পর তিনি তার বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করেন। জিয়ারত শেষে তার বাড়িতে নেতাকর্মীদের সাথে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ তিন ভাগ্নের আমন্ত্রণে বসুরহাট জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বিকেল ৩টায় কবিরহাট উপজেলা আ.লীগের এক বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং পরে নোয়াখালী জেলা আ.লীগ কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সাথে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।