লক্ষীপুরের ১১ গ্রামে হয়ে গেল ঈদ উদযাপন

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ ও রায়পুর উপজেলার ১১ গ্রামের মানুষ।

সোমবার (২ মে) সকাল ১০ টায় রামগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব নোয়াগাঁও তালিমুল কুরআন নূরানী মাদরাসা ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লীরা। এ উপজেলার ৪ টি ও রায়পুর উপজেলার একটি মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান মাওলানা ইসহাকের (রাঃ) অনুসারী হিসেবে ৪৫ বছর ধরে এ নিয়ম পালন করে আসছেন তারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭ টায় রামগঞ্জ পৌরসভার জাহাঙ্গীর টাওয়ার, ৯ টায় পূর্ব বিঘা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, পশ্চিম নোয়াগাঁও জামে মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লীরা। জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, বারোঘরিয়া, হোটাটিয়া, শরশৈই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপাসহ ১১টি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছে। তারা পৃথকভাবে স্ব স্ব এলাকার মসজিদে ঈদের নামাজের আয়োজন করেছেন।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ পূর্ব তালিমুল কুরআন মাদরাসার ঈদগাহের খতিব মাওলানা আমিনুল ইসলাম খান জানান,আমরা হানাফি মাজহাবের অনুসারী। প্রত্যেকটি মাজহাবে একসঙ্গে সারা বিশ্বে ঈদের জামাত আদায় করার ফতোয়া রয়েছে। শুধু বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে। আগে যোগাযোগের উন্নত মাধ্যম ছিল না। এজন্য মানূষ সৌদি আরবের একদিন পর ঈদ করতো। কিন্তু এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত। এতে আমরা পিছিয়ে থাকবো কেন।

Share this post

scroll to top