ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় বগাকৃষ্ণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল হালিম ৩ মাস ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। বিষয় নিশ্চিত করেছেন ঐ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রনজিত রবিদাস।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নের বগাকৃষ্ণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল হালিম গত ২০ জানুয়ারী থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রনজিত রবিদাস শিক্ষক অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি লিখিত ভাবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে জানানোর পর গত ২৭ জানুয়ারী তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী অফিসার নাসিমা রহমান। তিনি বলেন,” ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হলেও তিনি জবাব দেননি।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রনজিত রবিদাস জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ২শ ৮ জন। বিদ্যালয়ের ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষক নাজমা আকতার প্রশিক্ষনের জন্য ছুটিতে রয়েছেন। সহকারী শিক্ষক আব্দুল হালিম ৩ মাস ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন। তিনজন শিক্ষক ২০৮ জন শিক্ষার্থী সামাল দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
আমি নিজে অনুপস্থিত সহকারী শিক্ষকের বাড়ীতে গিয়ে খোজ নিয়েছি। তার পিতা আলহাজ ইদ্রিছ আলী জানিয়েছেন, পোল্ট্রি খাদ্যের ব্যবসা করতে গিয়ে তার ছেলে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এরই মধ্যে তার নামে দুটি মামলা দায়ের করেছেন এক কোম্পানী ও পাওনাদার। তার ছেলে কোথায় আছেন তিনি জানেন না।
সহকারী শিক্ষক আব্দুল হালিমের বন্ধুরা জানান, হালিম পোল্টির খাদ্যের ব্যবসা করতে গিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার মত ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বিভিন্ন ফিড কোম্পানী ও ব্যবসায়ীরা তার কাছে টাকা পান। ঋনের কারনে তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় শাস্তির ভয়ে তিনি তিনি বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন। হালিমের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছেন, তিনি এখন দোবাই অবস্থান করছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল বাকী জানান, আমরা অনুপস্থিত শিক্ষক আব্দুল হালিমকে কারন দর্শানোর নোটিশ করেছি। ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তার জবাব দেয়ার কথা থাকলেও তিনি কোন জবাব দেননি। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।