মৃত্যুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে লক্ষীপুরে বৃদ্ধ মিলন মিয়ার (৬০) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জেরে তাকে শ্বাসরোধে করে হত্যা করে সুপারি গাছের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে ও পেছন দিক থেকে দুই হাত বেঁধে রাখেন স্ত্রী জাহানারা বেগম।
রবিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে আদালতে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন স্ত্রী জাহানারা বেগম। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মোসলেহ উদ্দিন।
ওসি জানান, মিলনের মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। নিহতের ছোট ছেলে সাফায়েত হোসেন মাহবুব বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে নিহতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন। গতকাল রবিবার বিকেলে আদালতেও তিনি হত্যার ঘটনা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ বলছে, জবানবন্দির প্রতিবেদন এখনো পায়নি পুলিশ। তবে, হত্যার সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না তা জানাতে পারেনি কেউই।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া গ্রামে শুক্রবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় জাহানারা তার স্বামী মিলনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে বাড়ির পেছনের বাগানে নিয়ে সুপারিগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পরের দিন সকালে স্থানীয়রা গলায় রশি ও গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় মিলনের মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাহানারা ও ছেলে মাহবুবকে আটক করে। পরে নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদে জাহানারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন। নিহত মিলন দক্ষিণ খাগুড়িয়া গ্রামের মৃত আনোয়ার মিয়ার ছেলে।