যৌতুক না পেয়ে নির্যাতন ও অতর্কিত হামলার বিচার চেয়ে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ বিচারক দেবাংশু কুমার সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তার স্ত্রী ডা. হৃদিতা সরকার। দেবাংশু কুমার সরকার ও হৃদিতা সরকারের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার পূর্ব বাজার এলাকায়।
মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআইকে) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ৯ মে মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণ করেন।
এর আগে, ১৯ এপ্রিল রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামানের আদালতে মামলার আবেদন করেছিলেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার রফিক হাসনাইন এ সময় বিচারক শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
এদিকে, ওই মামলায় শ্বশুর সুধাংশু কুমার সরকার চয়ন, দেবাংশু কুমার সরকারের ফুফাতো ভাই নিলয় দে সরকার ও চাচা রঞ্জন সরকারকে আসামি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার রফিক হাসনাইন জানান, ২০১৫ সালের ১১ মে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার পূর্ব বাজার এলাকার দেবাংশু কুমার সরকারের সঙ্গে একই উপজেলার নারায়ণ সরকারের মেয়ে হৃদিতা সরকারের বিয়ে হয়। বিয়েতে হৃদিতার পরিবার ৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ২৫ লাখ টাকার উপহার সামগ্রী দেবাংশুকে দেন। বিয়ের কয়েক মাস পরে দেবাংশু একটি প্রাইভেটকার কেনার জন্য হৃদিতার ওপর ৩০ লাখ টাকার চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু হৃদিতা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে।
পরে, দেবাংশু ৩০ লাখ টাকা ছাড়া তার প্রথম স্ত্রী হৃদিতা সরকারের সঙ্গে সংসার না করার সিদ্ধান্ত জানান। এ নিয়ে চলতি বছরের ২৮ মার্চ হৃদিতা তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে রংপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে উপস্থিত হলে তার ওপর হামলা হয়। পরে বিচার চেয়ে আদালতে মামলার আবেদন করেন তিনি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার রফিক হাসনাইন বলেন, আদালত মামলার বাদী হৃদিতা সরকারের জবানবন্দি নিয়েছেন।