স্বামী ইব্রাহিম খলিল বিগত ৩-৪ বছর ধরে কিডনী রোগে আক্রান্ত বাংলাদেশ পুলিশের কনষ্টেবল পদে কুমিল্লা কর্মরত।
দীর্ঘ দিন রাজারবাগ পুলিশ লাইনে চিকিৎসা করার পর ডাক্তাররা তাকে জানান তার দুটোই কিডনী বিকল হয়ে গেছে। বাঁচতে হলে তার জন্য একটি কিডনী প্রতিস্থাপন করতে হবে। উপায় না দেখে তিনি পরিবারের লোকজন ও স্বজনদের বিষয়টি অবহিত করেন।
খলিল লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর রমিজ ইউনিয়নের পূর্ব চর মেহান আদর্শ গ্রামের জামাল উদ্দিনের পুত্র। তিনি বিগত ৮-১০ বছর পূর্বে নোয়াখালী জেলার আবদুল মুমিনের মেয়ে সালমা খলিলকে বিয়ে করেন। বর্তমানে তাদের সংসারে আড়াই বছরের এক ছেলে ও ৬ বছরের মেয়ে রয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে কিডনী সংগ্রহ করতে না পেয়ে হতাশায় পড়ে যান স্বামী ইব্রাহিম খলিল।
এ দিকে স্বামীকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং তার প্রতি ভালোবাসার নির্দশন হিসেবে স্ত্রী সালমা খলিল তার একটি কিডনী স্বামী দান করার আগ্রহ প্রকাশ করে। পরে বিষয়টি হাসপাতালের ডাক্তারদের অবহিত করলে তারা জানান যে কেউ একটি কিডনী দান করলে তার কোন সমস্যা হয়না।
পরে গত বুধবার ঢাকায় মিরপুর কিডনী ফাউন্ডেশন নামক একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ইব্রাহিম খলিলের কিডনী প্রতিস্থাপন করেন। বর্তমানে স্বামী-স্ত্রী উভয় সুস্থ রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ঈদ পর্যন্ত ইব্রাহিম খলিলকে হাসপাতাল থাকতে হবে বলে চিকিৎকেরা জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে ইব্রাহিম খলিলের ভাগিনা হাসান মাহমুদ জিহাদ জানান, আমার মামাকেও একটি কিডনী দান করেছেন মামী। বর্তমানে তারা সুস্থ আছেন। সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।